বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবারের ঈদযাত্রায় “সড়ক দুর্ঘটনা রোধে” জাতীয় মহাসড়কে ৭ জুলাই থেকে পরবর্তী সাত দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এই সিদ্ধান্তের পরে মোটরসাইকেলের চালকেরা ঈদযাত্রায় বাহনটির অনুমতি দিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল।
পরে বুধবার (৬ জুলাই) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেলে যাতায়াত করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অনুমতি লাগবে। এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ নির্দেশনা দিয়েছেন।
সভায় পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, লিখিত অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ফরম পাওয়া যাবে মহানগরগুলোর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে। জেলার ক্ষেত্রে এই ফরম পাওয়া যাবে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে। এছাড়া প্রতিটি জেলার থানা ও তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পাওয়া যাবে এই ফরম।
অবশ্য এ বিষয়ে পুলিশ কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন্স ও মিডিয়া) মো. হায়দার আলী খান দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোকে বলেন, যদি মনে হয় আবেদনকারীর অন্য জেলায় মোটরসাইকেলে গমন করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তিনি অনুমতি পাবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, যৌক্তিক কারণে মোটরসাইকেলে গমনাগমন দরকার হলে ডিসি অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। ট্রাফিকের সব বিভাগের ডিসিদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চলাফেরা করা মানুষের নাগরিক অধিকার। একজন মানুষ যৌক্তিক কারণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেই পারেন। বিআরটিএ বলেছে মোটরসাইকেল চলবে না। এ বিষয়ে তাদের সার্কুলার আছে। সেটি বাস্তবায়নে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। চলাচলের বিধিনিষেধ আরোপ করতে হলে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সামনে রেখে করাটাই যৌক্তিক। তাই তাদের কাছে প্রতিনিধি চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ তাদের সহায়তা করবে।