ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, “ঢাকাবাসীর কাছে বিনীত নিবেদন করব, ঈদের দিন ও দ্বিতীয় দিনেই যেন কোরবানি সম্পন্ন করা হয়। দ্বিতীয় দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হলে আমরা সুষ্ঠুভাবে এই বর্জ্য অপসারণের কাজটি সম্পন্ন করতে পারব।”
শনিবার (৯ জুলাই) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, “আমরা লক্ষ্য করি, অনেকে অপেক্ষা করেন, তৃতীয় দিনে গিয়ে কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন। আমরা বিনীতভাবে নিবেদন করব, যাতে তৃতীয় দিনের অপেক্ষায় যেন কেউ না থাকেন।”
ঈদুল আজহার দিন রবিবার দুপুর ২টা থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য ঠিক করেছে।
শনিবার রাত ১১টা থেকেই ঢাকার পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে উভয় সিটি করপোরেশনের এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুই মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস। তারা জানিয়েছেন, বর্জ্য অপসারণে বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
মেয়র তাপস বলেন, “কোরবানির ঈদ নিয়ে আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ হয়। সেই প্রস্তুতি ইতোমধ্যে আমরা শেষ করেছি। আজকে (শনিবার) রাত ১১টা থেকে হাটের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম আরম্ভ হবে। আর রবিবার দুপুর ২টা থেকে আমরা পাড়া মহল্লার বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রমের সূচনা করব।”
এ জন্য ঈদের তৃতীয় দিনে পশু কোরবানি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তৃতীয় দিনে আমাদের সকল কর্মীরা, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্রামে যাবে। কারণ ৭২ ঘণ্টা একটানা কাজ করব এই বর্জ্য অপসারণের জন্য। সেই লক্ষ্যে তাদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে, ঈদের ছুটির প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য সকলের কাছে বিনীত নিবেদন থাকবে যে, দুই দিনের মধ্যেই যেন কোরবানির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।”
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন থেকে সিটি করপোরেশনে যাদের আমার দরকার, তাদের তালিকা করা হয়েছে, তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে আমাদের কর্মীরা কাজ করবেন।”
দুই সিটিতে প্রায় ২০ হাজার কর্মী বর্জ্য অসারণ কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। এজন্য উভয় সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে ট্রাক, কম্প্যাক্টর ডাম্প ট্রাক, লোডার ও পানির গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন ও বর্জ্য অপসারণের বিশেষ ব্যাগ দেওয়া হয়েছে, যাতে ঈদের দিন কোরবানির পরে বর্জ্য নির্দিষ্ট ব্যাগে ভরে বাড়ির সামনে রাখা হয়। সেখানে থেকে বর্জ্য তুলে নিয়ে যাবেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।