দুই বছর আগে মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক চাকরিপ্রার্থীর বাবার কাছে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এর মধ্যে ওই সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়। তিনি চাকরি দিতে পারেননি। ফলে ঘুষের জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চান চাকরিপ্রত্যাশীর বাবা। এ নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন সাবেক সভাপতি। একপর্যায়ে অভিযুক্তের বাড়িতে টাকার জন্য গেলে চাকরিপ্রত্যাশীর বাবাকে বাড়ি থেকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদরের সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে। অভিযুক্তের নাম জুলফিকার আলম প্রধান। ভুক্তভোগী ও চাকরিপ্রত্যাশীর নাম জাকিরুল ইসলাম।
অপমানিত হয়ে বাড়ি ফিরেই স্ট্রোক করেন জাকিরুলের বাবা। গত ৭ আগস্ট পুনরায় স্ট্রোক করলে দবিরুল ইসলামকে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছালে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করেন এবং মরদেহ অভিযুক্তের বাড়ির উঠোনে রেখে অনশন শুরু করেন তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বাড়িতে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা পুরো পরিবার গা ঢাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশ রেখে অনশনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গভীর রাতে উভয়পক্ষ বসে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেওয়া সাপেক্ষে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।