আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে গত ১৩ আগস্ট ক্যাম্পাসে ঢুকতে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ফিরে আসতে হয় ছাত্রলীগকে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ইউনিটসহ সংগঠনটির নেতারা দাবি করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আড়ালে জামায়াত শিবির এসব কর্মকাণ্ড করছে। ছাত্রলীগ বুয়েটে ফের ছাত্ররাজনীতি সচলের আহ্বান জানায়।
সেই আলোচনা সমালোচনা এখনো চলছে। এরমধ্যেই সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুয়েট শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় ও বুয়েটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা “শিবিরের আস্তানা, এই বুয়েটে হবে না”; “একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর”; “শিবিরের বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে”; “এক নেতার এক দেশ, শেখ মুজিবের বাংলাদেশ” স্লোগান দেন।
বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিব আহমেদ মুরাদ বলেন, “জামায়াত-শিবির ও মৌলবাদী গোষ্ঠী এখানে আস্তানা গড়ে তুলেছে। আমরা থাকতে এই আস্তানা গড়ে উঠতে দেবো না। গত ১৩ তারিখ আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা খুবই হতাশাজনক। তারা কখনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। তারা সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে বুয়েটকে ধ্বংসের দিকে ঠেল দিতে চায়।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৌলবাদী গোষ্ঠীর কর্ম নিয়ে সচেতন হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দলও প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইফ বাবু, সৈয়দ আরিফ মাজহারুল ইসলাম শামীম, সাংগাঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, ধর্ম সম্পাদক তুহিন রেজা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ খান, আরিফ হোসেন রিফাত, ফয়সাল মাহমুদ,ফারহানা প্রমুখ।