আমদানি পণ্য খালাস করতে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় দেশের সমুদ্রবন্দরে। পণ্য খালাস হতে ১১ দিন ৬ ঘন্টা ২৩ মিনিট। স্থলবন্দরে পণ্য খালাসে সময় লাগে ১০ দিন আট ঘণ্টা ১১ মিনিট এবং বিমানবন্দরে লাগে সাত দিন ১১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে 'টাইম রিলিজ স্টাডি (টিআরএস)-২০২২' শীর্ষক গবেষণাপত্র উপস্থাপনের সময় এসব তথ্য জানান টিআরএসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হাকি। এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরের ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২১ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। অনুষ্ঠানে টিআরএসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২ থেকে ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সিসিএইচ, বিসিএইচ এবং ডিসিএইচের মাধ্যমে একটি পণ্যের সামগ্রিক কাস্টমস রিলিজ প্রক্রিয়ায় মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ সময় ব্যয় করে।
এতে বলা হয়, তিনটি কাস্টমস পোর্টের মধ্যে ঢাকা কাস্টম হাউসের ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া, বেনপোল এবং চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের চেয়ে দ্রুত সম্পন্ন হয়।
এ ক্ষেত্রে ফার্মাসিউটিক্যালস ও গার্মেন্ট কাঁচামালের জন্য বেনপোল কাস্টমসে সময় নেওয়া হয় ৯ থেকে ১০ দিন এবং ঢাকা কাস্টমসে পাঁচ থেকে আট দিন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৯ থেকে ১৪ দিনের বেশি সময়। যন্ত্রপাতিতে তিনটি কাস্টমস ১২ দিনেরও বেশি সময় নেয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সুজানে মুয়েলার প্রমুখ।