একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে নৌকার এজেন্ট মিলন মিয়া (৪৫) নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার (০২ ডিসেম্বর) নিহত মিলনের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদি হয়ে শিবপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবং তার ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম মোল্লাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এছাড়া আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুই আসামির নাম প্রকাশ করলেও তদন্তের স্বার্থে বাকিদের নাম জানাননি।
পুলিশ জানায়, মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, তার ভাই তাজুল মোল্লাসহ তাদের লোকজন কুন্দারপাড়া কেন্দ্রে জোরপূর্বক সিংহ প্রতীকে সিল মারার চেষ্টা করেন। এসময় মিলন মিয়া বাধা দিলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তারা মিলনকে জোরপূর্বক কেন্দ্রের বাইরে ধরে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এ মামলায় আমাকে এবং আমার পরিবারকে জড়ানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরাই এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) নির্বাচনী এলাকার কুন্দারপাড়ার ভোট কেন্দ্রের কাছেই নৌকার এজেন্ট মো. মিলন মিয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন। তার অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।