শনিবার (২৩ জুন) ভোর সাড়ে চারটা নাগাত পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের ব্র্যাক মোড়ের অদূরে বাঁশকাটা (গরুরহাট) নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
খবর পেয়ে পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন লাশ উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত নিহত ও আহতদের সকল পরিচয় জানা যায়নি। মৃত ১৮ জনের মধ্যে ৮ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.শাহিনুর আলম বলেন, ‘গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের ঘোষণা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী পরিচয় সনাক্ত করা আট পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে’।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আকতারুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে রানীশংকৈলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আলম এন্টারপ্রাইজ নামক যাত্রীবাহী নৈশ কোচ ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের বামে পাশে একটি বিশাল রেইনট্রি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় বাহনের সামনের অংশসহ গোটা বাসটি দুমড়ে-মুচরে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ৭ জন নিহত হয়। আহতদের গুরুতর অবস্থায় পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে সেখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
গাইবান্ধার প্রতিনিধি জানান, পলাশবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি গুরুতর আহতদের মধ্যে অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চত্বরের মেজেতে গুরুতর আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।