খুলনার আলোচিত নারী রহিমা বেগমের কথিত নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অক্টোবরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে পারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
খুলনা পিবিআইর পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘রহিমা বেগম অপহরণের আগে তার বিকাশ নম্বরে টাকার লেনদেন হয়। সেই তথ্যটা জানার অপেক্ষায় আছি। বিকাশ আবার আদালতের আদেশ ছাড়া এ তথ্য প্রতিবেদন দেয় না। ফলে সবভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। বিকাশের প্রতিবেদনটি পেলেই যাচাই শেষে এ মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।''
‘‘আমরা আশা করছি এ মাসের মধ্যেই প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দিতে পারবো।''
গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
এর ২৯ দিন পর (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বেগমের সাবেক ভাড়াটিয়া আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমাকে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ‘‘জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন।''
২২ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান তার মৃতদেহ শনাক্ত করার দাবি করলে পুরো ঘটনাটি আলোচনায় উঠে আসে। তবে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রহিমা বেগমের আবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই তার অবস্থানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়ী নয়।''
তিনি বলেন, ‘‘ওই নারী আবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না।''
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘‘রহিমার ছেলে মেরাজ আল সাদি পিবিআই অফিসে এসে তার মা আত্মগোপনে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন।''
এছাড়া সাদি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।
পুলিশ জানায়, পুরো ঘটনার সঙ্গে রহিমার স্বামী বেল্লাল ঘটকের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে তাদের সন্দেহ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হওয়া বেল্লাল ঘটক ওরফে বেলাল হাওলাদার ওই মামলায় এখনো কারাগারে রয়েছেন।