রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে কালো ধানের চাষ।
কৃষি কর্মকর্তা ও চাষিরা জানান, এই ধান ঔষধি ও পুষ্টিগুণে যেমন সমৃদ্ধ, তেমনই রোপণের ৯০ দিন পরেই কাটা যায়। এছাড়া রোগবালাইয়ের সংক্রমণও কম হয়।
তারা জানান, নিয়মিত সাদা বা বাদামী চালের চেয়ে এই ধানের দামও কিছুটা বেশি। এই ধান গাছগুলো অন্যান্য জাতের মতো সবুজ, তবে ভুসি গাঢ় বেগুনি বা কালো ও ধানও কালো।
দেশের অনেক জায়গায় কালো চালের চাষ হচ্ছে, ঢাকায় প্রতি কেজি চাল বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।
সম্প্রতি বাড়ির পাশের চার শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে কালো ধান চাষ শুরু করেছেন কুড়াপাড়া এলাকার আব্দুল কাদের বালিকা মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস।
প্রবাদ আছে যে চীনের রাজারা সুস্বাস্থ্যের জন্য কালো চাল খেতেন। তবে প্রজাদের জন্য এই চাল ছিল হারাম। এর ঔষধি গুণের কারণে তিনি এই ধান চাষে আগ্রহী হন।
পরে তিনি ইউটিউব দেখে এ ধান চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। স্থানীয় বাজার থেকে ২০০ গ্রাম ধানের বীজ সংগ্রহের পর তিনি এ চাষ শুরু করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি গাছের উপর থেকে বাতাসের সাথে কালো ধানের দানা ঝুলতে দেখে আমি উজ্জীবিত হয়েছি।
আবদুল কুদ্দুস জানান, আগামী বছরের ধান তিনি মজুদ করবেন।
এদিকে এ ধানক্ষেত দেখতে এসেছেন পাশের গ্রামের আল-আমিন হোসেন। তিনি ইউটিউবে এই ভাত দেখেছেন। আল-আমিন বলেন, এই জাতের বীজ প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, “পাংশার অনেক কৃষক এখন এটি চাষ করছেন। আমিও আমার গ্রামে এই ধান চাষ করার কথা ভাবছি।”
শাহীন রেজা নামে স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, “আমি শুনেছি এই ধানের ঔষধি গুণ রয়েছে। কালো চাল নিয়মিত খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায়। তাই আমি এই চাল সংগ্রহ করে চাষ করব।”
পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ জানান, “বাজারে সাধারণ জাতের চেয়ে কালো ধান ও চালের চাহিদার পাশাপাশি দামও অনেক বেশি।”
তিনি বলেন, “কালো চালে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও, এই ভাত ডায়াবেটিস, স্নায়ুর রোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।”