চাকরি জীবনে পাওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আশীর্বাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিদায়ী কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “পুরো চাকরি জীবনে আপনার আশীর্বাদ মাথার ওপরে ছিল, তা কখনোই ভুলবো না। চাকরিটাকে এবাদত মনে করেছি, চাকরি জীবনে কোথাও থেকে কোনো অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে ভালোভাবে চলতে আপনি পেছন থেকে যে সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য আপনাকে আলদাভাবে স্যালুট ও শ্রদ্ধা।”
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিদায়ী কমিশনার বলেন, “আইজিপি হিসেবে যাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তিনি ভালো করবেন। তার ওপর আস্থা রয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। যতক্ষণ শ্বাস আছে, যতক্ষণ আশ আছে; ততক্ষণ পুলিশ বাহিনী লড়াই করবে।”
কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে কমিশনার বলেন, “আমি ডিএমপি কমিশনার হওয়ার ৫-৬ মাস যেতেই করোনাভাইরাস মহামারি এসেছে। সে সময় বিধি-নিষেধের কারণে স্বাভাবিক সভা-সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জন্য খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তারপরও চেষ্টা করে গেছি এলাকার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার জন্য।”
তিনি বলেন, “বিশেষ করে ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, যৌতুক, মাদকের মতো সামাজিক সমস্যা রোধে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আগে এসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে আলাদা আইন ছিল না। পর্যায়ক্রমে যখন অপরাধ বাড়তে থাকলো, আইন হলো। পর্যায়ক্রমে আইন কঠোর থেকে কঠোর হলো। কিন্তু শুধু আইন করে কী অপরাধ নির্মূল সম্ভব হয়েছে? হয়তো কমেছে কিন্তু খুব বেশি লাভ হয়নি। এসব সামাজিক সমস্যা যদি সবাই মিলে প্রতিরোধ করি তাহলেই এ অপরাধ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।”
বিদায়ী এ কমিশনার বলেন, “প্রত্যেক মাদকসেবী টাকা জোগাড় করতে অপরাধে জড়ায়। একসময় মাদক ব্যবসায় জড়ায়। একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরলে শত শত ব্যবসায়ী তৈরি হচ্ছে। আজকে যে মাদক খায় সেই ভবিষ্যতের ব্যবসায়ী হবে। সামাজিকভাবে সবাই মিলে যদি এটা প্রতিরোধ করতে না পারি তাহলে শুধু জেল দিয়ে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সমাজে বাস করি, আমরাই নির্ধারণ করবো আমাদের সমাজ কেমন হবে। সবাই হাত মেলালে সমাজের গুটিকয়েক দুর্বৃত্ত পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।”