পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর সন্নিকট পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার নতুন রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্র্যাক কার চলাচল শুরু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ভাঙ্গা পুরোনো স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্র্যাক কারটি ছেড়ে এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে সেটি পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে (সংযোগ সেতু) পৌঁছায়।
ট্র্যাক কার চলাচলের বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল জাহিদ হোসেন।
পরীক্ষামূলক ট্র্যাক কারটি বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত একটি রেল ইঞ্জিন বিশেষ। এটি গ্যাংকার নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিএসসি (কনট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট) এর সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা “ডর্প” এটি বাস্তবায়ন করছে।
রেলে টেস্ট রান করার জন্য পরীক্ষামূলক ট্র্যাক কারটি চালানো হয়। ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ কিলোমিটার পাথরবিহীন এবং ২৮ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন বসে গেছে। এই রেল সংযোগ ভাঙ্গার পুরোনো রেললাইনের সাথে যুক্ত।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে কয়েকদিন আগেই এই পথের কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে কিছুটা দূরগতিতে ট্র্যাক কার চালিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানান ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহজাহান।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “নতুন রেলপথ চালু হওয়ার আগে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাংকারটি আজ সকালে ভাঙ্গা থেকে যাত্রা শুরু করে। ওই গ্যাংকারে সেনাবাহিনী পরিচালিত পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপ্রকল্পের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মেজর জেনারেল এস এম জাহিদ এবং প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন ৩২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন।”
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৩ সালের ২৫ জুন ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়া কথা আছে।