মেঘনা নদীতে এক লঞ্চের ধাক্কায় অপর লঞ্চের এক যাত্রী নিহত ও ৪ যাত্রী আহত হয়েছে। শনিবার (০৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সাকিব পালোয়ান ও বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার নুর মোহাম্মদকে বরিশালগামী এ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চে তুলে দেয়া হয়। তাদের রবিবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) আনা হলে আহত শাকিব পালোয়ানকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহত শাকিব পালোয়ান (২০) মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের রাজ্জাক পালোয়ানের ছেলে এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে দর্জি শ্রমিকের কাজ করতো। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল অফিসের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা মিঠু জানান, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একটি তদন্ত টিম করার নির্দেশ দিয়েছে।
নিহতের স্বজন হুমায়ুন ও এ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার মাসুদ জানান, রাত ৯ টার দিকে যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর থেকে এ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পানি কম থাকার কারনে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনা নদীর চরে এ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি নোঙ্গর করে রাখা হয়।
রাত ১.৩০ টার দিকে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-৬ নামের অপর একটি লঞ্চ এ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মাঝ-বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নিহত শাকিবসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। বরিশাল সদর নৌ-থানার এএসআই মোহাম্মদ কবির জানান, সুন্দরবন-৬ লঞ্চের ধাক্কায় এ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের ৪/৫ জন যাত্রী আহত হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান রবিবার (০৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে এ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চে করে ২জন আহতকে বরিশাল-শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শাকিব নামে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর রাতেই সুন্দরবন-৬ ও এ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের ঐ ২টি লঞ্চই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ঢাকা পৌছেছে বলে জানা গেছে।