সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২৪ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেললাইনের কড্ডার মোড় এলাকার রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম বাবুল (৪০); তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকর থানার নেকমতপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহত ব্যক্তিরা সবাই বাসের যাত্রী ছিলেন।
এ দুর্ঘটনায় রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে ঢাকা-উত্তরাঞ্চল রুটে প্রায় আধা ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ ছিল।
রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে ঠাকুরগাঁও থেকে মুন্সীগঞ্জগামী তাজ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে কড্ডার মোড় রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। ওই সময় রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ওই এলাকা অতিক্রম করছিল। বাসটি দ্রুতগতিতে রেলক্রসিং পার হতে গেলে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহম্মদ বলেন, “আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, “ভোরে ঠাকুরগাঁও থেকে মুন্সীগঞ্জগামী তাজ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে কড্ডার মোড় রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। সে সময় রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন এসে বাসটির পেছনের অংশে ধাক্কা দেয়। রেলক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল। এ ঘটনায় ২৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি আরও বলেন, “এ দুর্ঘটনায় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ফলে ঢাকা-উত্তরাঞ্চল রেল যোগাযোগ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। পরে জামতৈল স্টেশন থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এনে পদ্মা এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।”
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “গেটটিতে রেলওয়ের গেটম্যান ছিল না। তিনি ছুটিতে থাকায় একজন ওয়েম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল। সেই মুহূর্তে তিনিও ছিলেন না।”