ঘুষের মামলায় দণ্ডিত সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। রবিবার (৬ জানুয়ারি) নাজমুল হুদা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
তবে, নাজমুল হুদা অসুস্থ থাকায় তার আইনজীবী বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২১ মার্চ নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদক উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ২৭ আগস্ট নাজমুল হুদাকে ৭ বছর ও সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
পরে ২০১৭ সালে হাই কোর্ট তার সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। নির্বাচনের আগে গতবছর ১৯ নভেম্বর হাই কোর্টের ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
হাই কোর্টের ওই রায়ের পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই হাই কোর্টের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নাজমুল হুদা। কিন্তু ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি সে আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গতঃ খালেদা জিয়ার সরকারের দুই বারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে বিএনএফ গঠন করেন, ওই দলের কর্তৃত্ব হারানোর পর তিনি গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি।