ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই গর্ভেই মৃত্যু হয়েছে সন্তানের। পেটে মৃত সন্তানকে নিয়ে দুই দিন অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করেছেন ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের কুট্টিমাল বাড়ির চার সন্তানের জননী তাসনুর বেগম (৩৫)। অবশেষে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু তাকেও বাঁচানো যায়নি।
সোমবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে এই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এই প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবারের সদস্য মো. হারুন। তিনি জানান, তাসনুর বেগম ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত ২৯ ডিসেম্বর তার সন্তান প্রসবের তারিখ দিয়েছিল চিকিৎসক। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সন্তান প্রসব হয়নি। সোমবার হাসপাতালে তাকে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন, দুই দিন আগেই তাসনুরের গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও খারাপ ছিল। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল ছিল। ফলে প্রসূতিরও মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। দাফনের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক আজিম উদ্দিন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “বিষয়টি পুলিশের জানা নেই।”