রাজধানীর লালবাগে জ্যোতি ঘোষ (২৩) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। মৃত জ্যেতি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জ্যোতির গ্রামের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলায়। তিনি লালবাগ আব্দুল আজিজ লেনের একটি বাড়িতে বোনের সঙ্গে মেসে থাকতেন।
মৃতের বড় বোন মিতা ঘোষ বলেন, “ঘটনার সময় জ্যোতি একাই বাসায় ছিল। বিকেল ৩টার দিকে রুমমেট শ্রাবণী ফোন দিয়ে জানায় জ্যোতি রুমের দরজা খুলছে না। বাসায় গিয়ে অনেক ডাকাডাকির সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে দেখা যায় জ্যোতি জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
কী কারণে জ্যোতি গলায় ফাঁস নিয়েছেন তা জানাতে পারেননি স্বজনরা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লালবাগ এলাকায় একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে ওই শিক্ষার্থী। স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।