রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় আড়াই বছরের শিশুকে একটি ভবনের তিন তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই শিশুকে ধর্ষণের উদ্দেশে অপহরণ এবং পরে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী জোনের ডিসি ফরিদ আহমেদ বুধবার (৯ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে সে কৌশলে পুলিশের কাছে ওই ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা এড়িয়ে যায়। তবে তার বাড়ি থেকে ওই শিশুর প্যান্ট এবং পুতুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ডিসি ফরিদ আহমেদ জানান, “নাহিদের মেয়েকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। আদালতেও সে সাক্ষী হিসেবে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়। পাঁচ বছর আগে মারা যায় নাহিদের স্ত্রী।”
“ঘটনার সময় নাহিদের মেয়ে বাড়িতেই ছিল। কান্নার শব্দ শুনে সে বাবার ঘরে ঢুকে একটি বাচ্চা শিশুকে তার বাবার কোলে বসানো দেখতে পায়,” যোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তা। মেয়েটি জানায়, “বাচ্চাটা মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কাঁদছিল। ওই ঘটনা দেখে আমি সেখান থেকে চলে আসি।”
ডিসি আরও জানান, “বাচ্চাটির কান্নাকাটি শুনে নাহিদ বিরক্ত হয়ে চিৎকার করে। কয়েক মিনিট পরে সে তাকে তিন তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।”
পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে পালানোর চেষ্টা করে আহত হয় নাহিদ। বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি। সুস্থ হওয়ার পর তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, এই ঘটনার পর অভিযুক্ত নাহিদের বিচারের দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাদের দাবি, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ওই শিশুটিকে।
ওই এলাকারই একটি টিনশেড বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত নিহত শিশু আয়েশা। গত শনিবার নিখোঁজ হওয়ার বাড়ির কাছের একটি ভবনের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।