নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে আদালতে মামলার প্রধান আসামি মো. সোহেল ও গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন আরও একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
২ নম্বর আমলি আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের কাছে এ স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন। পরে দুইজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিনে দুইজন স্বীকারোক্তি প্রদান করলেন। এর আগে এজাহারভুক্ত আসামি সালাউদ্দিন এবং আবুল ৭ জানুয়ারী একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি মো. সোহেল ও তদন্তে জড়িত সন্দেহে আটক জসিমউদ্দিন রিমান্ডের তৃতীয় দিনে আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি দেন। এসময় তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাদশা আলম ওরফে বাসু, আবুল, মোশারেফ ও সালাউদ্দিন চার সন্তানের জননী ওই নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রাখে। পরে স্বামীকে বেদম প্রহার করে এবং ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণের পর পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে চর জব্বার থানায় মামলা করেন।