Sunday, March 23, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

যাত্রী সেজে বাসে উঠে চালক-হেলপারকে জিম্মি করে ডাকাতি করতেন তারা

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। পরস্পরের যোগসাজশে যাত্রী সেজে বাসে উঠে চালক-চালকের সহকারীকে জিম্মি করে ডাকাতি করেন

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ০৪:২২ পিএম

যাত্রী সেজে বাসে উঠে চালক ও চালকের সহকারীকে জিম্মি করে যাত্রীদের মারধর করে সর্বস্ব লুটে নিতো তারা। এমন একটি ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশি অস্ত্রসহ তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– ফখরুল কবির শান্ত (২৯), মনির হোসেন (৩০), মো. ইমরান (২২), মো. মুজাহিদ ওরফে বাবু (২৮), মো. রাজিব ওরফে আসিফ (২১) ও মো. সানি (২৬)। 

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এর আগে শুক্রবার সাভার থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা রিসাত পরিবহনের একটি বাসে ৮ থেকে ১০ জন প্রবেশ করেন। ওই বাসটি যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকার পর্বত সিনেমা হলের ডান পাশে রাস্তার ওপরে রাখা হয়েছিল। চক্রটির সদস্যরা ওই স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণ জানতে চান বাসের কর্মচারীদের কাছে। একপর্যায়ে দলের নেতা শান্তর নেতৃত্বে তার দুই সহযোগী চালক-হেলপার-সুপারভাইজারের কাছে মানিব্যাগ-মোবাইল ফোন চান। দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মারধর করেন। মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চোখ-হাত কাপড়ে বেঁধে পেছনের সিটে ফেলে রাখেন।

ডিবি প্রধান বলেন, “শান্ত গাড়ি চালিয়ে কিছু দূর এসে চক্রের অন্য সদস্য ইমরানকে গাড়ি চালাতে বলেন। পরে তাদের কয়েকেজন নিজেরাই যাত্রী-হেলপার-সুপারভাইজার সেজে গাবতলী, আসাদগেট, নিউমার্কেট, আজিমপুর, যাত্রাবাড়ী, কাঁচপুর আসেন। একইপথে আমিনবাজার, সাভার, চন্দ্রার বিভিন্ন স্থান থেকে একজন একজন করে যাত্রী তুলে মারধর করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেন। পরে তাদের চোখ ও হাত বেঁধে বাসের পেছনে ফেলে রাখেন। সারা রাত ডাকাতি করে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার দিকে আহত যাত্রীসহ বাসটি সাভার থানার কবিরপুরে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যান তারা।

এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ডিবি ছায়াতদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বাদীর বক্তব্য পর্যালোচনা এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। পরস্পরের যোগসাজশে যাত্রী সেজে বাসে উঠে চালক-চালকের সহকারীকে জিম্মি করে ডাকাতি করেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, “গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র-মাদক মামলা রয়েছে।”

   

About

Popular Links

x