বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলায় আমাতুল্লাহ বুশরাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে বুশরার আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানার আইনজীবী নারাজি দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বুশরাকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে “হত্যা করে লাশ গুম” করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা।
গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার তার জামিন দেন।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার ছায়া তদন্ত করা র্যাবের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল, তাকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়ার অপরাধী চক্র এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।
তবে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি জানায়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। আর্থিক, পারিবারিক ও পড়াশোনা নিয়ে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব জানায়, ফারদিন “স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ” করেছেন।