যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা রয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিয়েও সেটি ঠেকাতে পারে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিত্যপণ্যের “বাড়তি দাম” ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে পোশাকের দাম নিয়ে জালিয়াতি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানালো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বলছে, ইদের আগে পোশাকের দোকানগুলোতে একটি পোশাকে দুইটি, তিনটি পর্যন্ত প্রাইস ট্যাগ পাওয়া যায়। একই ব্র্যান্ডের শোরুমে হয়তো সকালে যে দামে একটি পোশাক বিক্রি করা হয়, বিকেলে সেটি পরিবর্তন করা হয়। এই ধরনের ঘটনা এবার ধরা পড়লে শাস্তি হিসেবে সেই পোশাকের শোরুমটি ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রমজান ও ইদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বা কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানায় ভোক্তা অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে জানায়, কোনো ধরনের জালিয়াতি চোখে পড়লে এবার শাস্তি হিসেবে ১০ দিনের জন্য আউটলেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এবার থেকে মামলাও করা হবে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “আমরা গত বছর বেনারসী পল্লি, ইসলামপুর, বিভিন্ন শপিং মলসহ ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি। একই শার্ট ও পাঞ্জাবিতে দুইটা, তিনটা স্টিকার দেখতে পেয়েছি। কত মূল্য হবে সেটা নির্ধারণ হবে কারখানায়, আউটলেটে না।”
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, “আমরা এবারে মার্কেট কমিটিকে চিঠি দেবো। যেন কোনো মার্কেটে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তারা ব্যবস্থা নেয়। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট দামের দোকানে স্টিকার বদলে যাচ্ছে। সকালে যেটার দাম ১,২০০ টাকা সেটা বিকেলে ১,৬০০ টাকা আবার রাতে সেটা ২,৪০০ টাকা হয়ে যায়। নতুন স্টিকার লাগানোর এই কারসাজি বন্ধ করতে হবে। এতে সরাসরি ভোক্তার স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। যারা ব্যবসা করছেন তাদের অবশ্যই দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে হবে।”
ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, গত বছর রমজানের ইদের আগে ধারণা করা হয়েছিল, পোশাকের মার্কেটে ১.৩৫ লাখ কোটি টাকার বিক্রি হবে কিন্তু আসলে বিক্রি হয়েছিল ১.৭৫ থেকে ১.৮০ লাখ কোটি টাকার।”
পোশাক ব্র্যান্ড আর্টিসানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার তৌফিক বিপ্লব বলেন, “গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে আউটলেটে প্রাইস পাল্টানো হয় না। প্রাইস ট্যাগ বদলানো হয় হেড অফিস থেকে। এই ভুলগুলো যাতে না হয় সেজন্য আমরা সতর্ক থাকবো।”
আড়ংয়ের আউটলেট সুপারভাইজার আয়শা আক্তার বলেন, “কনজ্যুমার বিহেভিয়ার, প্রাইসিং এ আমরা যথেষ্ট নজর রাখি। একটা পণ্য যখন উৎপাদন করা হয় তখন কাঁচামালের কস্টিংয়ের ওপর দামটা নির্ভর করে।