সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজকে (হজ প্যাকেজ ২০২৩) জনস্বার্থ পরিপন্থি কেন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (২ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মোহাম্মদ মহসিন। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান।
এছাড়া সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আওলাদ হোসেন।
এতে হজযাত্রীদের সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখে কেন বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়াও অন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে হজের টিকিট বুকিংয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৬ মার্চ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল-কুরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান হজ প্যাকেজের মূল্য পর্যালোচনা করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের জন্য সরকারের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠান।
এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রিটের আবেদনকারী অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ-জামান বলেন, তারা চান সংশ্লিষ্ট পক্ষ হজ প্যাকেজ-২০২৩ সংশোধন, পরিবর্তন ও পুনঃনির্ধারণ করুক, তা ৪ লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুক।
তিনি আরও বলেন, আমরা হজযাত্রীদের খরচের বোঝা কমাতে বাংলাদেশ বিমান বা সৌদি এয়ারলাইনস ছাড়াও অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মতো অন্যান্য বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।
সরকার এ বছরে হজের ব্যয় নির্ধারণ করেছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় (কোরবানি ছাড়া) হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
ঘোষিত প্যাকেজগুলির সাথে, একজন হজযাত্রীকে গত বছরের বাজেটের তুলনায় এ বছর প্রায় দেড় লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে।