শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ধানখেত থেকে একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল রক্ষায় ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদে আটকে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের একটি ধানখেত থেকে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপার থেকে খাবারের সন্ধানে একদল বন্য হাতি শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নেমে আসছে। হাতিগুলো ওই এলাকার কৃষকদের পাকা ধান খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করছে। সেই সময় একটি হাতি কাদায় আটকে যায়।
বন বিভাগের ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ জানিয়েছেন, “মৃত হাতিটি পুরুষ, বয়স সাড়ে ৩ থেকে ৪ বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ। তিনি বলেন, “ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন কুমার সরকার বলেন, “চলতি বছর এই প্রথম হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে ২০২২ সালে দুটি এবং ২০২১ সালে তিনটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।”