আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার( ১৪ জানুয়ারি)মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ দপ্তর প্রধান, চলমান প্রকল্পসমূহের প্রধান এবং সওজ’র জোন প্রধানদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে বাসস।
বাসসের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণকাজের গুণগতমান সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সড়ক-মহাসড়কের উপর স্থাপিত কাঁচাবাজার ও ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ করে মূলসড়ক উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে, এ কাজ সফলভাবে শেষ করতে হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, পরবর্তী পর্যায়ে সড়কপাশের অবৈধ স্থাপনা সরানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া পৌরসভা এলাকায় মহাসড়কের পার্শ্ব আবর্জনামুক্ত রাখতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে কঠোর নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা পর্যটনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি সড়কের বেইলি সেতুসমূহ প্রতিস্থাপনসহ চলমান নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে।
দেশের প্রথম সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সম্প্রসারণ করে বত্রিশ ফুটে উন্নীত করা হবে। পর্যটকদের সুবিধার্থে সৈকতসংলগ্ন সড়কে বাতি স্থাপন, বিভিন্ন পয়েন্টে বিশ্রামাগার নির্মাণের পাশাপাশি মেরিনড্রাইভে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী মাসে দ্বিতীয় সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের এর আওতায় প্রায় বারো হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এলেঙ্গা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জয়দেবপুর-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুনে নির্মাণকাজ শেষে সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বিআরটিসি’র চেয়াম্যান ফরিদ আহমদ ভুইয়া, ডিটিসিএর নির্বাহি পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান প্রকল্পসমূহের পরিচালক, সওজ অধিদপ্তরের জোন প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।