মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে উল্টো দিক দিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠে পড়ার পর “নিরাপত্তাকর্মীদের ধাওয়ার মুখে” ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক সেতু থেকে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।
রবিবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনা ঘটে। এখনো ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইনের বরাতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, উল্টো পথে ঢুকে যায় রিকশাটি। কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা কর্মীদের নজরে এলে তারা অটোচালকের দিকে এগিয়ে যান তারা। তাদের দেখে চালক অটোরিকশাটি আরও দ্রুত চালাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে বিকল একটি কর্ভাডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় রিকশাটি। এরপর নিরাপত্তাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে ২১ নম্বর খুঁটি থেকে পদ্মায় ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন সেই চালক।
অন্যদিকে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা-পুলিশের সূত্রে প্রথম আলো জানায়, উল্টো পথে অটোরিকশাটি সেতুতে উঠলে সেতুর নিরাপত্তায় থাকা টহলরত গাড়ি নিয়ে অটোরিকশাটি থামাতে ছুটে যান কয়েকজন। তবে অটোরিকশাটির গতি বেশি থাকায় সেতুটির ২১ নম্বর পিলারের কাছে চলে আসে। দ্রুত অটোরিকশাটি থামিয়ে রেলিংয়ে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেন অটোরিকশাচালক।
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ আল মামুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ঘটনাটি আকস্মিক। অটোরিকশাচালককে উদ্ধারে নৌ-পুলিশ কাজ করছে। গভীর রাতে এমন কাণ্ড তিনি কেন ঘটিয়েছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি।”
শিবচর চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন দুপুরে বলেন, “নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের সন্ধানে পদ্মা নদীতে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে এখনো চালকের খোঁজ মেলেনি।”
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মাওয়া প্রান্ত থেকে এসে সেতুর ২১ নম্বর পিলার পর্যন্ত এসেছিল অটোরিকশাটি। ওখান থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ। তাকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধরা পড়ার ভয়ে অটোরিকশা পদ্মা সেতুর ওপরে রেখেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন চালক।”