দেশের নিম্নআয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে গরু ও গরুর মাংস আমদানি করার নির্দেশনা চেয়ে মঙ্গলবার (২০ জুন) হাইকোর্টে রিট করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রিটটি করেন। এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও টিসিবির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, গরুর মাংস বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। কিন্তু বাজারে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়; এবং তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুর মাংস ইতিমধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্য সহনীয় রাখা টিসিবির আইনি কর্তব্য। কিন্তু টিসিবি বিদেশ থেকে গরু ও গরুর মাংস আমদানি না করে তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ব্যর্থতার জন্য বাজারে গরুর মাংস নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলেও রিট আবেদনে অভিযোগ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম সবচেয়ে বেশি। ভারত গরুর মাংস রপ্তানি বন্ধ করায় এবং গবাদি পশুর খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে দেশের বাজারে গরুর মাংসের দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ভারত বাংলাদেশে গবাদি পশু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে ঢাকার বাজারে এক কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ২৩০-২৫০ টাকা। বর্তমানে যা সর্বোচ্চ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা।
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বাংলাদেশে পশুখাদ্যের দামও বেশি। পশুখাদ্যের দাম কমানো হলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।