সিলেটের বিয়ানীবাজারে গোপাল চন্দ্র দাস (৩২) নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে কোপানোর পর খায়রুননেছা (৪০) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত স্বাস্থ্যকর্মী গোপাল বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বৈরাগিবাজার এলাকার খশিরকন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খশিরকন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী গোপাল দাসের সঙ্গে খায়রুন্নেছার বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছরখানেক আগে গোপাল অন্যত্র বিয়ে করেন। এ নিয়ে খায়রুন্নেছা প্রাক্তন প্রেমিকের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এরই জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খায়রুন্নেছা ক্লিনিকে ঢুকেই গোপাল দাসের মাথা ও হাতে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দেন গোপাল। তার পিছু পিছু খায়রুন্নেছাও বের হন এবং ফের হামলা চালান। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় গোপালকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে গোপালকে হাসপাতালে পাঠানোর পর খায়রুন্নেছা ক্লিনিকের ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জানালার পর্দা দিয়ে গলায় ফাঁস নেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে। আহত স্বাস্থ্যকর্মী গোপালের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।”