ইকবাল ছাড়াও মাজারের দুই খাদেমসহ ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার একটি আদালত
সিসিটিভি ফুটেজে পূজামণ্ডপের সামনে ইকবালকে দেখা যাচ্ছে, ১৩ অক্টোবর, ২০২১/সংগৃহীত
মাসুদ আলম, কুমিল্লা
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৩:১৪ পিএমআপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৩:১৪ পিএম
কুমিল্লায় দুর্গাপূজার মণ্ডপে পবিত্র কোরআনের রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার একটি আদালত।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সন্দেহভাজনদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপা এ আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- ঘটনার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা একরাম, দারোগাবাড়ি মাজারের তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ হুমায়ুন এবং ফয়সাল।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এম তানভীর আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
এএসপি তানভীর বলেন, "প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল ১৩ অক্টোবর রাতে রামায়ণ মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র হনুমানের মূর্তির হাত থেকে গদা চুরি এবং সেখানে কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছে।"
তিনি বলেন, "ইকবাল জানিয়েছে, সে চুরি কার হনুমানের গদাটি পাশের একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে।"
ইকবালকে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর শুক্রবার তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে নেওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ইকবালের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় কেউ তাকে মণ্ডপে কোরআন রাখতে প্ররোচিত করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানানো হয় যে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, তারা হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন দেখতে পান, এসময় হনুমানের গদাটি দেখা যায়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিকেলে শহরের বেশ কয়েকটি মন্দির এবং পূজামণ্ডপে হামলা চালানো হয়।
পরবর্তীতে এই সহিংসতা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় সাতজন মারা যায় এবং অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা করা হয়।
পূজামণ্ডপে কোরআন: ৭ দিনের রিমান্ডে ইকবাল
ইকবাল ছাড়াও মাজারের দুই খাদেমসহ ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার একটি আদালত
কুমিল্লায় দুর্গাপূজার মণ্ডপে পবিত্র কোরআনের রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার একটি আদালত।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সন্দেহভাজনদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপা এ আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- ঘটনার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা একরাম, দারোগাবাড়ি মাজারের তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ হুমায়ুন এবং ফয়সাল।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এম তানভীর আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
এএসপি তানভীর বলেন, "প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল ১৩ অক্টোবর রাতে রামায়ণ মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র হনুমানের মূর্তির হাত থেকে গদা চুরি এবং সেখানে কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছে।"
তিনি বলেন, "ইকবাল জানিয়েছে, সে চুরি কার হনুমানের গদাটি পাশের একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে।"
ইকবালকে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর শুক্রবার তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে নেওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ইকবালের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় কেউ তাকে মণ্ডপে কোরআন রাখতে প্ররোচিত করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানানো হয় যে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, তারা হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন দেখতে পান, এসময় হনুমানের গদাটি দেখা যায়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিকেলে শহরের বেশ কয়েকটি মন্দির এবং পূজামণ্ডপে হামলা চালানো হয়।
পরবর্তীতে এই সহিংসতা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় সাতজন মারা যায় এবং অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা করা হয়।