অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের ৭ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করেছেন তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছোট বড় ১৫টি গরু উদ্ধার করা হয়
আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন
নয়ন খন্দকার, ঝিনাইদহ
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১০:০০ পিএমআপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১০:০০ পিএম
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়ি থেকে গত মাসে ৭টি গরু চুরি হয়। গবাদি পশুগুলো ছিল দরিদ্র পরিবারটির একমাত্র অর্থ উপার্জনের উৎস। তাই সেগুলো চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন গৃহকর্তা গনজের আলী এবং তার স্ত্রী।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন তারা। অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করে পরিবারটির মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়েছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তারও করেছেন তারা। গ্রেপ্তার চোরদের কাছ থেকে ছোট বড় ১৫টি গরু উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, গত ১২ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের গনজের আলীর সাতটি ও ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ সদর থানার হামদল ঘোষপাড়া এলাকা থেকে জালাল গাজীর ছয়টি গরু চুরি হয়। ঘটনার পর কালীগঞ্জ ও সদর থানায় পৃথক দুইটি চুরি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোরদের শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার নরেন্দ্রপুর গ্রামের উজ্জ্বল কাজী (৩৫), খুলনা জেলার বটিয়াঘাটি উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের জিয়া শেখ (৪২), বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়ার সুজন খান ওরফে মিলন (৪২), বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের আল আমিন কাজী (২৯), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাংগা গ্রামের সেকেন্দার আলী ফকির (৪৫), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খলসি গ্রামের রুবেল গাজী (৩৫) ও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বড় খাজুরা গ্রামের শেখ ওহাব (৫০)।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, “গরু চুরির ঘটনায় গত ১৩ অক্টোবর থানায় মামলা হয়। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুজাত আলী তদন্ত শুরু করেন। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছোট-বড় ১৫টি গরু।”
ওসি জানান, একটি অসহায় পরিবারের চুরি যাওয়া গুরু উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে।
গরু ফিরে পেয়ে দরিদ্র গনজের আলী ও তার স্ত্রী পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা বলেন, “পুলিশ আমাদের গরু উদ্ধার করে দেবে এটা কখনোই ভাবতে পারিনি।”
অসহায় দম্পতির চুরি হওয়া ৭টি গরু উদ্ধার করলেন ওসি
অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের ৭ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করেছেন তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছোট বড় ১৫টি গরু উদ্ধার করা হয়
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়ি থেকে গত মাসে ৭টি গরু চুরি হয়। গবাদি পশুগুলো ছিল দরিদ্র পরিবারটির একমাত্র অর্থ উপার্জনের উৎস। তাই সেগুলো চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন গৃহকর্তা গনজের আলী এবং তার স্ত্রী।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন তারা। অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করে পরিবারটির মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়েছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তারও করেছেন তারা। গ্রেপ্তার চোরদের কাছ থেকে ছোট বড় ১৫টি গরু উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, গত ১২ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের গনজের আলীর সাতটি ও ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ সদর থানার হামদল ঘোষপাড়া এলাকা থেকে জালাল গাজীর ছয়টি গরু চুরি হয়। ঘটনার পর কালীগঞ্জ ও সদর থানায় পৃথক দুইটি চুরি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোরদের শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার নরেন্দ্রপুর গ্রামের উজ্জ্বল কাজী (৩৫), খুলনা জেলার বটিয়াঘাটি উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের জিয়া শেখ (৪২), বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়ার সুজন খান ওরফে মিলন (৪২), বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের আল আমিন কাজী (২৯), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাংগা গ্রামের সেকেন্দার আলী ফকির (৪৫), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খলসি গ্রামের রুবেল গাজী (৩৫) ও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বড় খাজুরা গ্রামের শেখ ওহাব (৫০)।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, “গরু চুরির ঘটনায় গত ১৩ অক্টোবর থানায় মামলা হয়। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুজাত আলী তদন্ত শুরু করেন। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছোট-বড় ১৫টি গরু।”
ওসি জানান, একটি অসহায় পরিবারের চুরি যাওয়া গুরু উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে।
গরু ফিরে পেয়ে দরিদ্র গনজের আলী ও তার স্ত্রী পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা বলেন, “পুলিশ আমাদের গরু উদ্ধার করে দেবে এটা কখনোই ভাবতে পারিনি।”