মেলায় এক কেজি থেকে ২৫ কেজি ওজনের মাছ থরে থরে সাজিয়ে রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়
মো. নাজমুল হুদা নাসিম, বগুড়া
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৫১ পিএমআপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৫১ পিএম
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নবান্ন উৎসব উপলক্ষে অগ্রহায়নের প্রথমদিন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, শিবগঞ্জ ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব মেলায় হরেক প্রজাতির বড় বড় মাছ বিক্রি হয়। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে মেয়ে, জামাই, নাতি, নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনে ভরে গেছে। মেলার মাছ দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার ফেঁপিড়া, সাবলা, গয়াবান্ধা, খানপুর, সরঞ্জাবাড়ী, কইল, আমষট্ট, মাজিন্দা, গোবিন্দপুর, ও উপজেলা সদরসহ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নবান্ন উৎসব পালন করেন। প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় আতপ চাল বেটে পানি দিয়ে গুলিয়ে আল্পনা আঁকেন, উঠান ও ধানের গোলায় গোবর গুলিয়ে লেপ দেন নারীরা।
সকালে ছোট ছোট ছেলের দল স্নান (গোসল) করে নতুন ধুতি পড়ে বয়স্ক লোকদের সঙ্গে জমিতে যায়। সেখান থেকে তিন গোছা ধান কেটে তাতে সিঁদুর, কাজলের ফোটা দিয়ে কলাপাতায় ঢেকে মাথায় করে বাড়ির আঙিনায় নিয়ে আসে। এ সময় গৃহবধুরা শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দেন। তারপর কাটা ধানগাছের গুচ্ছ ঘরের ছাউনির কোণায় আটকিয়ে রাখা হয়। এ ধরনের অনুষ্ঠানকে এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আগকাটা (প্রথম ধান কাটা) বলে থাকেন। এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি ঐতিহ্য।
উপজেলার সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক পরিতোষ মন্ডল জানান, আবহমান কাল থেকেই সনাতন ধর্মালম্বীরা এ নবান্ন উৎসবটি ধুমধামের সাথে পালন করে আসছেন। এ নবান্ন উৎসব উপলক্ষে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে বড় বড় মাছের মেলা বসে। সাধ্যমত লোকজন রকমারী সবজিসহ বড় বড় মাছ কিনে হরেক রকম সুস্বাদু রান্নার পাশাপাশি নতুন ধানের চালের পায়েস, পিঠা, পুলি তৈরি করে মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনিসহ আত্মীয় স্বজনদের আপ্যায়ন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপচাঁচিয়া মাছ বাজারে ২০কেজি ওজনের কাতলা তোলা হয়েছিল। বিক্রেতা প্রতি কেজি ১১শ’ টাকা দাবি করলেও পরে ৮০০ টাকা কেজি দরে কেটে বিক্রি করেন।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ওমরপুর, নাগরকান্দি, হাটকড়ই, ধুন্দার ও নন্দীগ্রামের রণবাঘা মাছের মেলা বসে। বাজারে সিলভার কার্প, কাতল, চিতল, রুই, ব্রিগেড, বাঘাইর, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ তোলা হয়। এক কেজি থেকে ২৫ কেজি ওজনের মাছ থরে থরে সাজিয়ে রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়।
মেলায় শতাধিক মাছের দোকান বসে। প্রত্যেকে ১০ থেকে ২০ মণ মাছ বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
গুন্দইল গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোস্তফা জানান, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে তারা মূলত বড় বড় মাছ বিক্রি করে থাকেন। ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করেই তারা দাম কম রাখেন।
বগুড়ায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষে মাছের মেলা
মেলায় এক কেজি থেকে ২৫ কেজি ওজনের মাছ থরে থরে সাজিয়ে রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নবান্ন উৎসব উপলক্ষে অগ্রহায়নের প্রথমদিন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, শিবগঞ্জ ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব মেলায় হরেক প্রজাতির বড় বড় মাছ বিক্রি হয়। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে মেয়ে, জামাই, নাতি, নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনে ভরে গেছে। মেলার মাছ দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার ফেঁপিড়া, সাবলা, গয়াবান্ধা, খানপুর, সরঞ্জাবাড়ী, কইল, আমষট্ট, মাজিন্দা, গোবিন্দপুর, ও উপজেলা সদরসহ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নবান্ন উৎসব পালন করেন। প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় আতপ চাল বেটে পানি দিয়ে গুলিয়ে আল্পনা আঁকেন, উঠান ও ধানের গোলায় গোবর গুলিয়ে লেপ দেন নারীরা।
সকালে ছোট ছোট ছেলের দল স্নান (গোসল) করে নতুন ধুতি পড়ে বয়স্ক লোকদের সঙ্গে জমিতে যায়। সেখান থেকে তিন গোছা ধান কেটে তাতে সিঁদুর, কাজলের ফোটা দিয়ে কলাপাতায় ঢেকে মাথায় করে বাড়ির আঙিনায় নিয়ে আসে। এ সময় গৃহবধুরা শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দেন। তারপর কাটা ধানগাছের গুচ্ছ ঘরের ছাউনির কোণায় আটকিয়ে রাখা হয়। এ ধরনের অনুষ্ঠানকে এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আগকাটা (প্রথম ধান কাটা) বলে থাকেন। এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি ঐতিহ্য।
উপজেলার সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক পরিতোষ মন্ডল জানান, আবহমান কাল থেকেই সনাতন ধর্মালম্বীরা এ নবান্ন উৎসবটি ধুমধামের সাথে পালন করে আসছেন। এ নবান্ন উৎসব উপলক্ষে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে বড় বড় মাছের মেলা বসে। সাধ্যমত লোকজন রকমারী সবজিসহ বড় বড় মাছ কিনে হরেক রকম সুস্বাদু রান্নার পাশাপাশি নতুন ধানের চালের পায়েস, পিঠা, পুলি তৈরি করে মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনিসহ আত্মীয় স্বজনদের আপ্যায়ন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপচাঁচিয়া মাছ বাজারে ২০কেজি ওজনের কাতলা তোলা হয়েছিল। বিক্রেতা প্রতি কেজি ১১শ’ টাকা দাবি করলেও পরে ৮০০ টাকা কেজি দরে কেটে বিক্রি করেন।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ওমরপুর, নাগরকান্দি, হাটকড়ই, ধুন্দার ও নন্দীগ্রামের রণবাঘা মাছের মেলা বসে। বাজারে সিলভার কার্প, কাতল, চিতল, রুই, ব্রিগেড, বাঘাইর, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ তোলা হয়। এক কেজি থেকে ২৫ কেজি ওজনের মাছ থরে থরে সাজিয়ে রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়।
মেলায় শতাধিক মাছের দোকান বসে। প্রত্যেকে ১০ থেকে ২০ মণ মাছ বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
গুন্দইল গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোস্তফা জানান, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে তারা মূলত বড় বড় মাছ বিক্রি করে থাকেন। ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করেই তারা দাম কম রাখেন।