কোন খাত থেকে এ তহবিলে অর্থ আসবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেছে তারা
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৩৫ পিএমআপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৩৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ড সড়ক দুর্ঘটনা তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি করেছে। কোন খাত থেকে এ তহবিলে অর্থ আসবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেছে তারা।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৫৪ (১) উপধারা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত ৩১ অক্টোবর বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিআরটিএ ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে ট্রাস্টি বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তহবিল গঠনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা সরকারি অনুদান পেতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন বিধিমালা অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় নিহত হলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে এককালীন ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা। গুরুতর আহত ও চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকার ক্ষেত্রেও ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা। গুরুতর আহত কিন্তু চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে ন্যূনতম ১ লাখ টাকা। তবে সরকারের অনুমোদনক্রমে ট্রাস্টি বোর্ড প্রয়োজনে এর পরিমাণ কমাতে-বাড়াতে পারবে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, মোটরযানে দুর্ঘটনার ফলে কোনো ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা মারা গেলে তিনি বা ক্ষেত্র বিশেষে তার উত্তরাধিকারীদের পক্ষ থেকে মনোনীত ব্যক্তি ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ পাবেন। তবে এ জন্য বোর্ডের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। বোর্ড ওই আবেদন যাচাই করে তারপর ক্ষতিপূরণ দেবে।
আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠনের উৎস হবে সরকারি অনুদান, মোটরযান মালিকের চাঁদা, সড়ক পরিবহন আইনের অধীন জরিমানার অর্থ, মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের অনুদান এবং অন্যান্য বৈধ উৎস।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, “ট্রাস্টি বোর্ডের কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করার জন্য সরকারের কাছে ১০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী গঠিত উৎসগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে এ খাতে ব্যয় করা হবে।”
তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকারের কাছ থেকে এ অর্থ দাবির কারণে তহবিল আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাদের ভাষ্যমতে, অনুদান ছাড়াই পরিবহনের নিবন্ধন, নবায়ন ও ট্রাফিক জরিমানা থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়েই তহবিলকে শক্তিশালী করা সম্ভব। আর তহবিল শক্তিশালী হলে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “পরিবহনের নিবন্ধন, নবায়ন ও ট্রাফিক জরিমানা থেকে যে আয় হবে তা দিয়েই এই তহবিলকে শক্তিশালী করা সম্ভব। যদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই অর্থ আদায় করা হয় তাহলে হিসাব বলছে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার দুর্ঘটনায় নিহত হলে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধরেছে। আমরা বলতে চাই এর পরিমাণ কমপক্ষে ২০ লাখ হতে হবে। আর আহত হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আর এখনই তহবিলে পরিমাণ মালিকদের থেকে যে চাঁদা ধরা হয়েছে তা যদি কার্যকর করা হয় তাহলে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি আরও বেড়ে যাবে।”
দুর্ঘটনা তহবিলে ১০০ কোটি টাকা চায় বিআরটিএ
কোন খাত থেকে এ তহবিলে অর্থ আসবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেছে তারা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ড সড়ক দুর্ঘটনা তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি করেছে। কোন খাত থেকে এ তহবিলে অর্থ আসবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেছে তারা।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৫৪ (১) উপধারা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত ৩১ অক্টোবর বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিআরটিএ ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে ট্রাস্টি বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তহবিল গঠনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা সরকারি অনুদান পেতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন বিধিমালা অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় নিহত হলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে এককালীন ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা। গুরুতর আহত ও চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকার ক্ষেত্রেও ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা। গুরুতর আহত কিন্তু চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে ন্যূনতম ১ লাখ টাকা। তবে সরকারের অনুমোদনক্রমে ট্রাস্টি বোর্ড প্রয়োজনে এর পরিমাণ কমাতে-বাড়াতে পারবে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, মোটরযানে দুর্ঘটনার ফলে কোনো ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা মারা গেলে তিনি বা ক্ষেত্র বিশেষে তার উত্তরাধিকারীদের পক্ষ থেকে মনোনীত ব্যক্তি ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ পাবেন। তবে এ জন্য বোর্ডের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। বোর্ড ওই আবেদন যাচাই করে তারপর ক্ষতিপূরণ দেবে।
আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠনের উৎস হবে সরকারি অনুদান, মোটরযান মালিকের চাঁদা, সড়ক পরিবহন আইনের অধীন জরিমানার অর্থ, মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের অনুদান এবং অন্যান্য বৈধ উৎস।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, “ট্রাস্টি বোর্ডের কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করার জন্য সরকারের কাছে ১০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী গঠিত উৎসগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে এ খাতে ব্যয় করা হবে।”
তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকারের কাছ থেকে এ অর্থ দাবির কারণে তহবিল আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাদের ভাষ্যমতে, অনুদান ছাড়াই পরিবহনের নিবন্ধন, নবায়ন ও ট্রাফিক জরিমানা থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়েই তহবিলকে শক্তিশালী করা সম্ভব। আর তহবিল শক্তিশালী হলে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “পরিবহনের নিবন্ধন, নবায়ন ও ট্রাফিক জরিমানা থেকে যে আয় হবে তা দিয়েই এই তহবিলকে শক্তিশালী করা সম্ভব। যদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই অর্থ আদায় করা হয় তাহলে হিসাব বলছে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার দুর্ঘটনায় নিহত হলে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধরেছে। আমরা বলতে চাই এর পরিমাণ কমপক্ষে ২০ লাখ হতে হবে। আর আহত হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আর এখনই তহবিলে পরিমাণ মালিকদের থেকে যে চাঁদা ধরা হয়েছে তা যদি কার্যকর করা হয় তাহলে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি আরও বেড়ে যাবে।”