‘আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে’
খাদ্যে ঘাটতি না থাকার দাবি করে উদ্বৃত্ত ফসল আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক
গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা ট্রিবিউন
রায়হানুল ইসলাম আকন্দ, গাজীপুর
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৭ পিএমআপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৭ পিএম
আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় কৃষকরা দীর্ঘদিন মজুত রাখতে পারে না। তাই পেঁয়াজের মৌসুম এখন শেষ মুহূর্তে হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসলেই দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) “কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচী প্রণয়ন কর্মশালা-২০২১” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, “কৃষিক্ষেত্রে একটা অভূতপূর্ব বিপ্লব হয়েছে। খাদ্যে আমাদের কোন ঘাটতি নেই। আমাদের উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করবো। আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। গত এক বছরে কৃষি পণ্যের রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক ল্যাবের মাধ্যমে আমরা শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারবো। কৃষি বিপ্লবকে আরও অর্থনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য আমাদেরকে স্থানীয় বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজার দুটোতেই যেতে হবে।”
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, “আমাদের জমি কমছে, বাড়ছে জনসংখ্যা- এটিই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে. কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে অবদান রাখতে হবে। আমরা বাংলাদেশকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, সত্যিকার অর্থে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ করতে চাই।”
কর্মশালা উদ্বোধনের আগে কৃষিমন্ত্রী উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে স্থাপিত দুইটি অত্যাধুনিক ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রে নবনির্মিত ল্যাব কাম ফাংশনাল ভবন উদ্বোধন করেন। এছাড়া, তিনি বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জলবায়ু, জমি খুবই উর্বর এবং অনুকূল। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদারভাবে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ২০%, যা আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩-১৪% এ নিয়ে আসতে চাই এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২০২৩ সালের মধ্যে ১০% এর নিচে নিয়ে আসতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন হচ্ছে। তবে এর জন্য মানুষের আয় বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা আমাদের মাথাপিছু আয় ৫০০০ ডলার করতে চাই। কারণ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। কৃষিক্ষেত্র আমাদের অর্থনীতির একটা বড় দিক। বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পুষ্টি জাতীয় খাবার এবং নিরাপদ খাবার উৎপাদন। সারা পৃথিবীতেই মানুষ স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই সচেতন। তারা নিরাপদ খাদ্য চায়। ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের আয় বাড়াতে হবে। তাই সেটি করতে আমরা কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণে নিয়ে যেতে চাই। কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে কৃষকের জন্য কৃষিকে লাভজনক খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
বারি’র মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সাবেক সচিব ও বিএআরসির সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জহুরুল করিম, বারির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও এমেরিটাস সাইন্টিস্ট ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা প্রমুখ।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, “বারি ও ব্রি’র বিজ্ঞানীরা ফসলের বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জাত আবিষ্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কার করছেন। তারা বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শ্রমিক সংকটের সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছেন।”
ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় ‘‘এসডিজি-২০৩০ ও ভিশন ২০৪১ অর্জনে বারি’র গবেষণা কৌশল একটি রোডম্যাপ’’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম।
বারি সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে যে সকল কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন ১১, ১২, ১৭, ১৮, ১৯ অক্টোবর দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।
এই গবেষণা পর্যালোচনা তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। আঞ্চলিক গবেষণা পর্যালোচনা, অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা। বিভিন্ন পর্যায়ের এই কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষক প্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আঞ্চলিক কৃষির সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সেই আলোকে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
জানা যায়, বারিতে বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ১৩৪টি ফসলের ৬০২টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৫৯২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তিসহ মোট ১১৯৪টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, গম, সবজি, মসলা এবং ফল ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে’
খাদ্যে ঘাটতি না থাকার দাবি করে উদ্বৃত্ত ফসল আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক
আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় কৃষকরা দীর্ঘদিন মজুত রাখতে পারে না। তাই পেঁয়াজের মৌসুম এখন শেষ মুহূর্তে হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসলেই দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) “কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচী প্রণয়ন কর্মশালা-২০২১” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, “কৃষিক্ষেত্রে একটা অভূতপূর্ব বিপ্লব হয়েছে। খাদ্যে আমাদের কোন ঘাটতি নেই। আমাদের উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করবো। আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। গত এক বছরে কৃষি পণ্যের রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক ল্যাবের মাধ্যমে আমরা শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারবো। কৃষি বিপ্লবকে আরও অর্থনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য আমাদেরকে স্থানীয় বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজার দুটোতেই যেতে হবে।”
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, “আমাদের জমি কমছে, বাড়ছে জনসংখ্যা- এটিই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে. কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে অবদান রাখতে হবে। আমরা বাংলাদেশকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, সত্যিকার অর্থে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ করতে চাই।”
কর্মশালা উদ্বোধনের আগে কৃষিমন্ত্রী উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে স্থাপিত দুইটি অত্যাধুনিক ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রে নবনির্মিত ল্যাব কাম ফাংশনাল ভবন উদ্বোধন করেন। এছাড়া, তিনি বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জলবায়ু, জমি খুবই উর্বর এবং অনুকূল। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদারভাবে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ২০%, যা আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩-১৪% এ নিয়ে আসতে চাই এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২০২৩ সালের মধ্যে ১০% এর নিচে নিয়ে আসতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন হচ্ছে। তবে এর জন্য মানুষের আয় বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা আমাদের মাথাপিছু আয় ৫০০০ ডলার করতে চাই। কারণ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। কৃষিক্ষেত্র আমাদের অর্থনীতির একটা বড় দিক। বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পুষ্টি জাতীয় খাবার এবং নিরাপদ খাবার উৎপাদন। সারা পৃথিবীতেই মানুষ স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই সচেতন। তারা নিরাপদ খাদ্য চায়। ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের আয় বাড়াতে হবে। তাই সেটি করতে আমরা কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণে নিয়ে যেতে চাই। কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে কৃষকের জন্য কৃষিকে লাভজনক খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
বারি’র মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সাবেক সচিব ও বিএআরসির সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জহুরুল করিম, বারির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও এমেরিটাস সাইন্টিস্ট ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা প্রমুখ।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, “বারি ও ব্রি’র বিজ্ঞানীরা ফসলের বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জাত আবিষ্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কার করছেন। তারা বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শ্রমিক সংকটের সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছেন।”
ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় ‘‘এসডিজি-২০৩০ ও ভিশন ২০৪১ অর্জনে বারি’র গবেষণা কৌশল একটি রোডম্যাপ’’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম।
বারি সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে যে সকল কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন ১১, ১২, ১৭, ১৮, ১৯ অক্টোবর দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।
এই গবেষণা পর্যালোচনা তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। আঞ্চলিক গবেষণা পর্যালোচনা, অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা। বিভিন্ন পর্যায়ের এই কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষক প্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আঞ্চলিক কৃষির সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সেই আলোকে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
জানা যায়, বারিতে বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ১৩৪টি ফসলের ৬০২টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৫৯২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তিসহ মোট ১১৯৪টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, গম, সবজি, মসলা এবং ফল ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।