পূজায় ‘কাঙ্ক্ষিত পোশাক না পেয়ে’ কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
দিনমজুর বাবা বাড়তি টাকা না দিতে পারায় ছেলে অভিমান করে বলে জানা গেছে
প্রতীকী ছবি। বিগস্টক
মো. নাজমুল হুদা নাসিম, বগুড়া
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২০ পিএমআপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২০ পিএম
বগুড়ার নন্দীগ্রামে দরিদ্র বাবা চাহিদামতো দুর্গাপূজার পোশাক দিতে না পারায় কনক চন্দ্র সরকার (১৯) নামে এক কলেজছাত্র অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ছোট কঞ্চি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোর্শেদুল বারী ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত কনক চন্দ্র সরকার নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটকড়ই ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ছোট কঞ্চি গ্রামের খগেন চন্দ্র সরকার দিনমজুরি করে সংসারের ও দুই ছেলে ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতেন। দুর্গাপূজা শুরুর আগে তিনি ছেলে কনককে পোশাক কেনার জন্য এক হাজার টাকা দেন। ওই টাকায় শার্ট, প্যান্ট ও জুতা না হওয়ায় কনক আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন। বাবা আর টাকা দিতে না পারায় কনক অভিমান করেন।
এরপর সে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। দীর্ঘক্ষণ তার সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শয়ন ঘর থেকে রশি কেটে কনকের নিথর মরদেহ নামিয়ে আনেন তারা। কনকের মরদেহ আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত ছিল। এর আগে ঘরে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স চালু ছিল।
দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পূজায় ‘কাঙ্ক্ষিত পোশাক না পেয়ে’ কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
দিনমজুর বাবা বাড়তি টাকা না দিতে পারায় ছেলে অভিমান করে বলে জানা গেছে
বগুড়ার নন্দীগ্রামে দরিদ্র বাবা চাহিদামতো দুর্গাপূজার পোশাক দিতে না পারায় কনক চন্দ্র সরকার (১৯) নামে এক কলেজছাত্র অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ছোট কঞ্চি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোর্শেদুল বারী ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত কনক চন্দ্র সরকার নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটকড়ই ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ছোট কঞ্চি গ্রামের খগেন চন্দ্র সরকার দিনমজুরি করে সংসারের ও দুই ছেলে ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতেন। দুর্গাপূজা শুরুর আগে তিনি ছেলে কনককে পোশাক কেনার জন্য এক হাজার টাকা দেন। ওই টাকায় শার্ট, প্যান্ট ও জুতা না হওয়ায় কনক আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন। বাবা আর টাকা দিতে না পারায় কনক অভিমান করেন।
এরপর সে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। দীর্ঘক্ষণ তার সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শয়ন ঘর থেকে রশি কেটে কনকের নিথর মরদেহ নামিয়ে আনেন তারা। কনকের মরদেহ আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত ছিল। এর আগে ঘরে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স চালু ছিল।
দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।