Tuesday, May 20, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

চেয়ারম্যানের প্রতারণায় নিঃস্ব ২টি পরিবার, তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসককে ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২৯ পিএম

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর কাশালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের প্রতারণায় ২টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরির প্রলোভন দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে একটি পরিবারকে পথে বসিয়েছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। অপর একটি পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েও জমি লিখে দেননি তিনি। এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসককে ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোচনা ইউনিয়নের হাজরাগাতি গ্রামের সুদেব ঢালী ও ননীক্ষীর গ্রামের সুনীল বাড়ৈ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলে গত ২৪ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে।

মোচনা ইউনিয়নের হাজরাগাতি গ্রামের সুদেব ঢালী বলেন, “২০১৫ সালের মার্চ মাসে আমার ছেলে মিল্টন ঢালীকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে চাকরি দেয়ার জন্য সিরাজ চেয়ারম্যানকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেই। তিনি আমার ছেলেকে চাকরি না দিয়ে অন্যকে চাকরি দেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যস্থতায় চেয়ারম্যান আমাকে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল ৪ লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকী ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন। পাওনা টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন।”

ননীক্ষির গ্রামের সুনিল বড়ৈ বলেন, “২৮ বছর আগে আমাদের গ্রামের ময়নাল ফকিরের মাধ্যমে সিরাজ চেয়ারম্যানের ২ বিঘা জমি ২৭ হাজার ৫শ টাকায় ক্রয় করি। ২৫ বছর ধরে আমরা জমিটি ভোগ দখল করে আসছিলাম। বারবার তাগিদ দেওয়ার পরেও চেয়ারম্যান আমাদের জমি লিখে দেননি। বর্তমানে এ জমির বাজার দাম প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তাই ৩ বছর আগে তিনি আমাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করেন। জমি হারিয়ে আমরা দিশেহারা।”

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “তাদের কাছে আমি জমি বন্ধক রেখে ছিলাম। ২৭ হাজার ৫ শ’ টাকা ফেরত দিয়ে জমি ছাড়িয়ে নিয়েছি। চাকরি দেয়ার কথা বলে সুদেব ঢালীর কাছ থেকে যে টাকা নিয়ে ছিলাম, তার মধ্যে ৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। টাকা নিয়ে তাদের সাথে আমার বাক বিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। আমি তাদের কোনো ভয়ভীতি বা হুমকি দেইনি।”

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, “এ ব্যাপারে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। চিঠিটি ১২ আগস্ট ওই মন্ত্রণালয়ের কাছে থেকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

   

About

Popular Links

x