প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৫ পিএমআপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৫ পিএম
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে। ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায় পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কয়েকশো যানবাহন।
দুটি ট্রাক ট্রার্মিনালে প্রায় তিন শতাধিক ট্রাক, ওজন স্কেলের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত আড়াই শতাধিক এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে আরও দেড় শতাধিক সাধারণ পন্য বোঝাই ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে আছে।
এছাড়া চার শতাধিক প্রাইভেটকার এবং অর্ধশতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসও পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মাত্রারিক্ত চাপ পরেছে পাটুরিয়া রুটে। একই সঙ্গে শারদীয় দূর্গা পূজার ছুটিতে বেড়েছে প্রাইভেটকারের সংখ্যা।”
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টে যানবাহনের চাপ থাকায় উথুলী সংযোগ মোড়ে দেড় শতাধিক পন্য বোঝাই ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। চাপ কমে আসলে ট্রাকগুলোকে আবারও পাটুরিয়া ঘাট অভিমুখে পাঠানো হবে।
জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি পারাপারের কাজে নিয়োজিত আছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে গোয়ালন্দমোড় ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
তবে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকে থাকা দূরপাল্লার বাসগুলো দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ফেরির দেখা পেলেও ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে এক থেকে দুই দিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের চার লেন রাস্তার দুই লাইনজুড়েই ৫ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি। অপেক্ষায় থাকা এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ফেরিঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় ৫ শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে পুলিশ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব আটকে থাকা ট্রাকগুলোকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
যশোরের বেনাপোল থেকে আসা ট্রাক চালক গণি মণ্ডল বলেন, “গতকাল দুপুরে গোয়ালন্দ মোড়ে এসেছি। এখনো সেই গোয়ালন্দ মোড়েই আটকে আছি। ২৪ ঘণ্টা পরেও ফেরির দেখা পেলাম না।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “পদ্মায় স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের বাড়তি চাপ পড়েছে। এছাড়া পদ্মায় ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।”
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘ হচ্ছে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সারি
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি পারাপারের কাজে নিয়োজিত আছে
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে। ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায় পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কয়েকশো যানবাহন।
দুটি ট্রাক ট্রার্মিনালে প্রায় তিন শতাধিক ট্রাক, ওজন স্কেলের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত আড়াই শতাধিক এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে আরও দেড় শতাধিক সাধারণ পন্য বোঝাই ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে আছে।
এছাড়া চার শতাধিক প্রাইভেটকার এবং অর্ধশতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসও পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মাত্রারিক্ত চাপ পরেছে পাটুরিয়া রুটে। একই সঙ্গে শারদীয় দূর্গা পূজার ছুটিতে বেড়েছে প্রাইভেটকারের সংখ্যা।”
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টে যানবাহনের চাপ থাকায় উথুলী সংযোগ মোড়ে দেড় শতাধিক পন্য বোঝাই ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। চাপ কমে আসলে ট্রাকগুলোকে আবারও পাটুরিয়া ঘাট অভিমুখে পাঠানো হবে।
জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি পারাপারের কাজে নিয়োজিত আছে।
অন্যদিকে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে গোয়ালন্দমোড় ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
তবে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকে থাকা দূরপাল্লার বাসগুলো দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ফেরির দেখা পেলেও ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে এক থেকে দুই দিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের চার লেন রাস্তার দুই লাইনজুড়েই ৫ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি। অপেক্ষায় থাকা এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ফেরিঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় ৫ শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে পুলিশ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব আটকে থাকা ট্রাকগুলোকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
যশোরের বেনাপোল থেকে আসা ট্রাক চালক গণি মণ্ডল বলেন, “গতকাল দুপুরে গোয়ালন্দ মোড়ে এসেছি। এখনো সেই গোয়ালন্দ মোড়েই আটকে আছি। ২৪ ঘণ্টা পরেও ফেরির দেখা পেলাম না।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “পদ্মায় স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের বাড়তি চাপ পড়েছে। এছাড়া পদ্মায় ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।”