টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও পিপিই খাতে বিপুল সম্ভাবনার হাতছানি
এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রয়োজন
ঢাকায় করোনাভাইরাস বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা একটি কারখানায় প্রতিরক্ষামূলক পোশাক (পিপিই) তৈরি করছে, ৩১ মার্চ ২০২১ রয়টার্স
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:২০ এএমআপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:২০ এএম
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল (টিটি) এবং পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস সেক্টর প্রসারিত হলে অধিক টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব বলে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বছরের পর বছর ধরে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস সেক্টরের অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক সরবরাহকারী হিসেবে নিজের অগ্রণী অবস্থান নিশ্চিত করে আসছে বাংলাদেশ।
চলমান কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও দেশের অবস্থান ধরে রাখা বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিজিএমইএর সহযোগিতায় ডয়চে গেসেলশ্যাফট ইন্টারন্যাশিওনালে জুসাম্মেনারবেইট (জিআইজেড) জিএমবিএইচ পরিচালিত “বাংলাদেশে পিপিইসহ টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন” শীর্ষক এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জিআইজেড বাংলাদেশের টেক্সটাইল ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর ওয়ার্নার ল্যাঞ্জ জানান, তারা এই নতুন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তার লক্ষ্যে পর্যবেক্ষণের ফলাফল, বিশেষ করে প্রতিবন্ধকতা, মূল পদক্ষেপ এবং একটি সামগ্রিক কৌশল প্রকাশ করতে পেরে গর্বিত।
এ সময় বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রাস্টার, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরন আলী, ওয়ার্নার ল্যাঞ্জ এবং জিআইজেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাঞ্জেলিকা ফ্লেডারম্যান, প্যানেলিস্ট আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক তরিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক স্নোটেক্স, জিআইজেডের বিজনেস স্কাউট টমাস হাবনার এবং গবেষণার লেখক চার্লস ড্যাঘার, জিএফএ-এর পরামর্শক ও তার অধ্যয়ন দলের সহকর্মী ডা. রাজেশ ভেদা বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
ফারুক হাসান বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রয়োজন।
আমাদের ইন্ডাস্ট্রি “টিটি” এবং “পিপিই”-এর ক্রমবর্ধমান বাজার পূরণের জন্য প্রস্তুত এবং চাহিদাও বাড়ছে।
একবার টিটি এবং পিপিই-এর নতুন পণ্য খাতে বাংলাদেশ তার আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা তৈরি করলে উন্নত প্রযুক্তির দিকে যাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক দল।
বিজিএমইএ বলেছে, এসব পণ্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে বৈচিত্র্যময় এবং পরিশীলিত করতে সহায়তা করবে।
এমনকি পরিমাণ কম হলেও পণ্য উচ্চমানের হলে উন্নত দেশগুলোতে গ্রাহকের চাহিদা বেড়ে যাবে। আর পণ্যগুলোর জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে যাবে।
ফলে নির্মাতারা উৎসাহিত হবে এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হবে। তবে এখনও বাংলাদেশের সামনে কয়েকটি বড় বাধা আছে।
এর মধ্যে রয়েছে- বাজারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, অপর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত দক্ষতা, উপযুক্ত কাঁচামালের উৎস না থাকা, সম্মতি ও শংসাপত্রের প্রয়োজনীয়তা এবং মূলধন বিনিয়োগের ওপর নির্ভরতা।
জার্মান উন্নয়ন সহযোগিতা, যেমন- জিআইজেড টেক্সটাইল ক্লাস্টার, এই চ্যালেঞ্জগুলোর কয়েকটি মোকাবিলায় স্থানীয় অংশীজনদের সহায়তা করছে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রাস্টার বলেন, “আমরা টেক্সটাইল সেক্টরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি।”
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও পিপিই খাতে বিপুল সম্ভাবনার হাতছানি
এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রয়োজন
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল (টিটি) এবং পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস সেক্টর প্রসারিত হলে অধিক টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব বলে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বছরের পর বছর ধরে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস সেক্টরের অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক সরবরাহকারী হিসেবে নিজের অগ্রণী অবস্থান নিশ্চিত করে আসছে বাংলাদেশ।
চলমান কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও দেশের অবস্থান ধরে রাখা বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিজিএমইএর সহযোগিতায় ডয়চে গেসেলশ্যাফট ইন্টারন্যাশিওনালে জুসাম্মেনারবেইট (জিআইজেড) জিএমবিএইচ পরিচালিত “বাংলাদেশে পিপিইসহ টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন” শীর্ষক এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জিআইজেড বাংলাদেশের টেক্সটাইল ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর ওয়ার্নার ল্যাঞ্জ জানান, তারা এই নতুন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তার লক্ষ্যে পর্যবেক্ষণের ফলাফল, বিশেষ করে প্রতিবন্ধকতা, মূল পদক্ষেপ এবং একটি সামগ্রিক কৌশল প্রকাশ করতে পেরে গর্বিত।
এ সময় বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রাস্টার, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরন আলী, ওয়ার্নার ল্যাঞ্জ এবং জিআইজেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাঞ্জেলিকা ফ্লেডারম্যান, প্যানেলিস্ট আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক তরিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক স্নোটেক্স, জিআইজেডের বিজনেস স্কাউট টমাস হাবনার এবং গবেষণার লেখক চার্লস ড্যাঘার, জিএফএ-এর পরামর্শক ও তার অধ্যয়ন দলের সহকর্মী ডা. রাজেশ ভেদা বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
ফারুক হাসান বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রয়োজন।
আমাদের ইন্ডাস্ট্রি “টিটি” এবং “পিপিই”-এর ক্রমবর্ধমান বাজার পূরণের জন্য প্রস্তুত এবং চাহিদাও বাড়ছে।
একবার টিটি এবং পিপিই-এর নতুন পণ্য খাতে বাংলাদেশ তার আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা তৈরি করলে উন্নত প্রযুক্তির দিকে যাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক দল।
বিজিএমইএ বলেছে, এসব পণ্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে বৈচিত্র্যময় এবং পরিশীলিত করতে সহায়তা করবে।
এমনকি পরিমাণ কম হলেও পণ্য উচ্চমানের হলে উন্নত দেশগুলোতে গ্রাহকের চাহিদা বেড়ে যাবে। আর পণ্যগুলোর জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে যাবে।
ফলে নির্মাতারা উৎসাহিত হবে এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হবে। তবে এখনও বাংলাদেশের সামনে কয়েকটি বড় বাধা আছে।
এর মধ্যে রয়েছে- বাজারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, অপর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত দক্ষতা, উপযুক্ত কাঁচামালের উৎস না থাকা, সম্মতি ও শংসাপত্রের প্রয়োজনীয়তা এবং মূলধন বিনিয়োগের ওপর নির্ভরতা।
জার্মান উন্নয়ন সহযোগিতা, যেমন- জিআইজেড টেক্সটাইল ক্লাস্টার, এই চ্যালেঞ্জগুলোর কয়েকটি মোকাবিলায় স্থানীয় অংশীজনদের সহায়তা করছে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রাস্টার বলেন, “আমরা টেক্সটাইল সেক্টরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি।”