জাফরুল্লাহ: কুমিল্লার ঘটনায় পরিপূর্ণভাবে প্রমাণিত সরকার ব্যর্থ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এতো পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, তা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক’
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন
মাসুদ আলম, কুমিল্লা
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৩৬ পিএমআপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ০১:১৯ পিএম
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, “কুমিল্লার ঘটনায় পরিপূর্ণভাবে প্রমাণিত সরকার চরম ব্যর্থ। এ ঘটনায় লোক দেখানো ধরপাকড় করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাইছে তারা। কারণ দেশে বর্তমান সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই।”
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন “অবমাননা” ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সরজমিনে পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “এতো পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, তা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক। হামলা হয়েছে কক্সবাজার, নাসিরনগর, শাল্লায় ও হাজীগঞ্জে। এতো বড় ঘটনা ১৯৪৭ এর পরও আর ঘটে নাই। পুলিশ দিয়ে মসজিদ ও মন্দির পাহারা দিতে হয়নি। এখন পুলিশ দিয়ে কেন পাহারা দিতে হবে। কারণ মানুষের মনকে বিষিয়ে তোলা হচ্ছে। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।”
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, “এটা সরকারেরও চরম ব্যর্থতা এবং আমাদেরও ব্যর্থতা। তাই সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার গঠন করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। এ পর্যন্ত একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনে আওতায় এনে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করা উচিত।”
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর রামু থেকে নাসিরনগর এবং আজকে কুমিল্লা পর্যন্ত সব ঘটনাই একই ধরনের। তবে কোনো ঘটনার এখনও বিচার হয়নি। কুমিল্লা পূজামণ্ডপে যারা পবিত্র কোরআন রেখেছে। সত্যিকারে কোনো মুসলমান বা হিন্দু এই কাজ করতে পারেন না। এটি সরকারি মদদে একটি পরিকল্পিত ঘটনা। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির পর ঘটনাটি আরও বেড়ে যায়। যখন ঘটনা ঘটে তখন পুলিশ তৎপর।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নঈম জাহাঙ্গীর, ইশতিয়াক আজিজ ঊলফাত, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ। এরপর তারা বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সদস্যরা কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন “অবমাননা” ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জাফরুল্লাহ: কুমিল্লার ঘটনায় পরিপূর্ণভাবে প্রমাণিত সরকার ব্যর্থ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এতো পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, তা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, “কুমিল্লার ঘটনায় পরিপূর্ণভাবে প্রমাণিত সরকার চরম ব্যর্থ। এ ঘটনায় লোক দেখানো ধরপাকড় করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাইছে তারা। কারণ দেশে বর্তমান সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই।”
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন “অবমাননা” ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সরজমিনে পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “এতো পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, তা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক। হামলা হয়েছে কক্সবাজার, নাসিরনগর, শাল্লায় ও হাজীগঞ্জে। এতো বড় ঘটনা ১৯৪৭ এর পরও আর ঘটে নাই। পুলিশ দিয়ে মসজিদ ও মন্দির পাহারা দিতে হয়নি। এখন পুলিশ দিয়ে কেন পাহারা দিতে হবে। কারণ মানুষের মনকে বিষিয়ে তোলা হচ্ছে। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।”
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, “এটা সরকারেরও চরম ব্যর্থতা এবং আমাদেরও ব্যর্থতা। তাই সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার গঠন করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। এ পর্যন্ত একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনে আওতায় এনে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করা উচিত।”
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর রামু থেকে নাসিরনগর এবং আজকে কুমিল্লা পর্যন্ত সব ঘটনাই একই ধরনের। তবে কোনো ঘটনার এখনও বিচার হয়নি। কুমিল্লা পূজামণ্ডপে যারা পবিত্র কোরআন রেখেছে। সত্যিকারে কোনো মুসলমান বা হিন্দু এই কাজ করতে পারেন না। এটি সরকারি মদদে একটি পরিকল্পিত ঘটনা। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির পর ঘটনাটি আরও বেড়ে যায়। যখন ঘটনা ঘটে তখন পুলিশ তৎপর।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নঈম জাহাঙ্গীর, ইশতিয়াক আজিজ ঊলফাত, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ। এরপর তারা বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সদস্যরা কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন “অবমাননা” ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিষয়: