অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি প্রায় ২৪ কোটি টাকা
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পুন:নির্ধারন করায় এমন ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে হিলি স্থল শুল্কস্টেশন কর্তৃপক্ষ
দিনাজপুরের হিলি শুল্ক স্টেশন। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১০:০৯ এএমআপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১০:১০ এএম
২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৯৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ফলে রাজস্ব আহরণের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পুন:নির্ধারণ করায় এমন ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তবে সামনের মাসগুলোতে আমদানি বাড়লে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তারা।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত ২০২১-২২ অর্থ বছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর সেপ্টেম্বরের ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান জানান, বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টি নির্ভর করে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর। বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বা রপ্তানি বাড়লে রাজস্ব আহরণ বাড়বে আর পণ্য আমদানি রপ্তানি কমলে রাজস্ব আহরণ কমবে।
এরপরেও প্রথমের দিকে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম নির্ধারণ করা থাকলেও পরে তা পুন:নির্ধারণ করায় লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। প্রথমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল গত বছরের আদায়ের উপর। পরে রংপুর কমিশনারেট সারাদেশের মধ্যে রাজস্ব আহরণে প্রথম হওয়ায় পরে আবারও কমিশনারেটের উপর ৩০০ কোটি টাকা বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়।
বাড়তি সেই লক্ষ্যমাত্রা হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের উপরেও নির্ধারণ করা হয়। যেহেতু লক্ষ্যমাত্রা বেশী নির্ধারণ করা হয়েছে তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সেবা সহজীকরণ করা, যাতে দ্রুত আমদানিকৃত পণ্যের পরীক্ষণ, শুল্কায়নসহ খালাস কার্যক্রম যত সহজ করা হবে তাতে করে দেশের অন্যান্য বন্দরের চেয়ে হিলি স্থলবন্দর ব্যবহারে আমদানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। এতে করে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে, ফলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।
এছাড়া,আমাদের উপ-কমিশনার মহোদয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজীকরণ করতে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন সম্পন্ন করে দ্রুত বের করে দেওয়া যায় এবং সব তথ্য যেন দ্রুত আর সহজেই পাওয়া যায় সেজন্য নতুন সফটওয়্যার চালু করেছেন। এছাড়া, এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক অহেতুক যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিতে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যার যেন দ্রুত সমাধান দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি।
অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি প্রায় ২৪ কোটি টাকা
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পুন:নির্ধারন করায় এমন ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে হিলি স্থল শুল্কস্টেশন কর্তৃপক্ষ
২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৯৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ফলে রাজস্ব আহরণের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পুন:নির্ধারণ করায় এমন ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তবে সামনের মাসগুলোতে আমদানি বাড়লে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তারা।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত ২০২১-২২ অর্থ বছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর সেপ্টেম্বরের ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান জানান, বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টি নির্ভর করে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ওপর। বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বা রপ্তানি বাড়লে রাজস্ব আহরণ বাড়বে আর পণ্য আমদানি রপ্তানি কমলে রাজস্ব আহরণ কমবে।
এরপরেও প্রথমের দিকে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম নির্ধারণ করা থাকলেও পরে তা পুন:নির্ধারণ করায় লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। প্রথমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল গত বছরের আদায়ের উপর। পরে রংপুর কমিশনারেট সারাদেশের মধ্যে রাজস্ব আহরণে প্রথম হওয়ায় পরে আবারও কমিশনারেটের উপর ৩০০ কোটি টাকা বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়।
বাড়তি সেই লক্ষ্যমাত্রা হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের উপরেও নির্ধারণ করা হয়। যেহেতু লক্ষ্যমাত্রা বেশী নির্ধারণ করা হয়েছে তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সেবা সহজীকরণ করা, যাতে দ্রুত আমদানিকৃত পণ্যের পরীক্ষণ, শুল্কায়নসহ খালাস কার্যক্রম যত সহজ করা হবে তাতে করে দেশের অন্যান্য বন্দরের চেয়ে হিলি স্থলবন্দর ব্যবহারে আমদানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। এতে করে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে, ফলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।
এছাড়া,আমাদের উপ-কমিশনার মহোদয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজীকরণ করতে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন সম্পন্ন করে দ্রুত বের করে দেওয়া যায় এবং সব তথ্য যেন দ্রুত আর সহজেই পাওয়া যায় সেজন্য নতুন সফটওয়্যার চালু করেছেন। এছাড়া, এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক অহেতুক যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিতে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যার যেন দ্রুত সমাধান দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি।