পাত্র দেখানোর নামে অপহরণের পর কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঘটক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃত ঘটক এর আগে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভেন দেখিয়ে তিনজন নারীকে বিয়ে করেন
মো. নাজমুল হুদা নাসিম, বগুড়া
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:১৫ এএমআপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:১৫ এএম
বগুড়ার শিবগঞ্জে ভালো পাত্র দেখানোর নাম করে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিনুর রহমান (৪৩) নামে এক ঘটককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) শিবগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগীর বাবা ঘটকের বিরুদ্ধে মামলা করলে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে তার ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করার পর ওই ঘটককে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার মৃত মোবারক প্রামাণিকের ছেলে শাহিনুর রহমান ঘটকালীর পাশাপাশি শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটক শাহিনুরের সঙ্গে একই উপজেলার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তার মেয়ের জন্য সেই ঘটক ভালো পাত্রের সন্ধান দেন। পাত্র দেখানোর নামে তিনি ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই ছাত্রী বাড়ি না ফেরার পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। ঘটকের বাড়িতে গিয়ে ঘটককে না পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ঘটক তা ধরেননি। পরবর্তীতে দু'দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা হলেও সেই ছাত্রীকে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
পরে জানা যায়, ঘটক শাহিনুর ওই ছাত্রীকে বর দেখানোর নামে কৌশলে অপহরণ করে উপজেলার রহবল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান ও সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। তিনদিন পর শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে সেখানে গেলে ঘটক পালানোর চেষ্টা করেন। তখন সেখানকার প্রতিবেশীরা জাতীয় জরুরি সেবা ‘‘৯৯৯’’ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটক শাহিনুরকে গ্রেপ্তার করে এবং ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটক শাহিনুর রহমান একজন প্রতারক। তিনি এর আগে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনজন নারীকে বিয়ে করেন। পরে সেই নারীরা তাকে ছেড়ে চলে যান।
তিনি আরও জানান, অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রীর বাবা রবিবার শিবগঞ্জ থানায় ঘটকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাত্র দেখানোর নামে অপহরণের পর কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঘটক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃত ঘটক এর আগে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভেন দেখিয়ে তিনজন নারীকে বিয়ে করেন
বগুড়ার শিবগঞ্জে ভালো পাত্র দেখানোর নাম করে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিনুর রহমান (৪৩) নামে এক ঘটককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) শিবগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগীর বাবা ঘটকের বিরুদ্ধে মামলা করলে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে তার ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করার পর ওই ঘটককে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার মৃত মোবারক প্রামাণিকের ছেলে শাহিনুর রহমান ঘটকালীর পাশাপাশি শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটক শাহিনুরের সঙ্গে একই উপজেলার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তার মেয়ের জন্য সেই ঘটক ভালো পাত্রের সন্ধান দেন। পাত্র দেখানোর নামে তিনি ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই ছাত্রী বাড়ি না ফেরার পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। ঘটকের বাড়িতে গিয়ে ঘটককে না পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ঘটক তা ধরেননি। পরবর্তীতে দু'দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা হলেও সেই ছাত্রীকে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
পরে জানা যায়, ঘটক শাহিনুর ওই ছাত্রীকে বর দেখানোর নামে কৌশলে অপহরণ করে উপজেলার রহবল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান ও সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। তিনদিন পর শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে সেখানে গেলে ঘটক পালানোর চেষ্টা করেন। তখন সেখানকার প্রতিবেশীরা জাতীয় জরুরি সেবা ‘‘৯৯৯’’ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটক শাহিনুরকে গ্রেপ্তার করে এবং ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটক শাহিনুর রহমান একজন প্রতারক। তিনি এর আগে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনজন নারীকে বিয়ে করেন। পরে সেই নারীরা তাকে ছেড়ে চলে যান।
তিনি আরও জানান, অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রীর বাবা রবিবার শিবগঞ্জ থানায় ঘটকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।