সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করছিলেন তিন বন্ধু
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন
মাসুদ আলম, কুমিল্লা
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫১ পিএমআপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫১ পিএম
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে কক্সবাজার থেকে আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে আটক করা হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মূলত ইকবালের ওই তিন বন্ধু সমুদ্র সৈকতে কৌশলে ইকবালের পরিচয় নিশ্চিত হন। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করছিলেন তারা।
ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু বলেন, “তিন বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলাম। সুগন্ধায় (বিচ) পরিচয় হয় ইকবাল নামে ছেলেটির সঙ্গে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফা গল্প করেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। পরে তার কথায় সন্দেহ হলে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করি। এরপর সে পুরো ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে। তারপর থেকে কীভাবে তাকে পুলিশে দেওয়া যায় সেই চিন্তা করতে থাকি। রাত ৮টার দিকে আমরা নিশ্চিত হই ইকবালই কুমিল্লার ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তারপর পুলিশকে বিষয়টি জানাই।”
এদিকে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার ঘটনায় ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করা হয়।
সেখানে দেখা গেছে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মসজিদ থেকে কীভাবে পবিত্র কুরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করে এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে নিয়ে ফেরে।
ইকবালকে শুক্রবার দুপুর ১২টা ১ মিনিটে কুমিল্লার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যেভাবে ধরা পড়ে ইকবাল
সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করছিলেন তিন বন্ধু
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে কক্সবাজার থেকে আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে আটক করা হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মূলত ইকবালের ওই তিন বন্ধু সমুদ্র সৈকতে কৌশলে ইকবালের পরিচয় নিশ্চিত হন। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করছিলেন তারা।
ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু বলেন, “তিন বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলাম। সুগন্ধায় (বিচ) পরিচয় হয় ইকবাল নামে ছেলেটির সঙ্গে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফা গল্প করেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। পরে তার কথায় সন্দেহ হলে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করি। এরপর সে পুরো ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে। তারপর থেকে কীভাবে তাকে পুলিশে দেওয়া যায় সেই চিন্তা করতে থাকি। রাত ৮টার দিকে আমরা নিশ্চিত হই ইকবালই কুমিল্লার ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তারপর পুলিশকে বিষয়টি জানাই।”
এদিকে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার ঘটনায় ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করা হয়।
সেখানে দেখা গেছে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মসজিদ থেকে কীভাবে পবিত্র কুরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করে এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে নিয়ে ফেরে।
ইকবালকে শুক্রবার দুপুর ১২টা ১ মিনিটে কুমিল্লার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।