বাউল শিল্পী রীতা দেওয়ানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচার শুরু হলো
সুফি গায়িকা রীতা দেওয়ান দোহারে একটি মাজারে অনুষ্ঠিত কনসার্টে গান গাইছেন, ২ নভেম্বর ২০২০ এএফপি
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৬ পিএমআপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৬ পিএম
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় বাউল সঙ্গীতশিল্পী রিতা দেওয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচার শুরু হলো।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) বিচারক আশ-শামস জগলুল হোসেন অভিযুক্তের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দিয়েছেন বলে ঢাকা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।
অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন- ইউটিউব চ্যানেল কোকিল টিভির মালিক শাহজাহান (৪৫) এবং চ্যানেল গান রূপালী এইচডির মালিক মো. ইকবাল হোসেন (৪৮)।
অভিযুক্ত তিনজনই জামিনে থাকলেও সোমবার তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানির সময় অভিযুক্তরা তাদেরকে নির্দোষ দাবি করেন।
এদিকে, অভিযোগ গঠনের পর আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মিজানুর রহমান অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইমরুল হাসান বাদী হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। এরপর আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
অভিযোগে ইমরুল বলেন, “রীতা একটি অনুষ্ঠানে অন্য আরেক গায়কের সঙ্গে পালা গান গাওয়ার সময় আল্লাহকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।”
পরে গানটি ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ায় তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও দাবি করেন, গানটি মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ২৮ (১) অনুযায়ী, “যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কোনো ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে কোনো কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে থাকে। যা ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধকে আঘাত করে তাহলে সেই ব্যক্তির এ ধরনের কার্যকলাপ একটি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।”
এছাড়া, “যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এর অধীনে কোনো অপরাধ করে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এবং যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত অপরাধটি দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তবে তিনি অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
এদিকে, গানটি ভাইরাল হওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি ইউটিউব চ্যানেল “গান রূপালী এইচডি”তে এক সাক্ষাৎকারে রিতা ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এর আগে ৯ জানুয়ারি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় দায়ের করা আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে” অভিযোগে এনে বাউল গায়ক শরীয়ত সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বাউল শিল্পী রীতা দেওয়ানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচার শুরু হলো
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় বাউল সঙ্গীতশিল্পী রিতা দেওয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচার শুরু হলো।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) বিচারক আশ-শামস জগলুল হোসেন অভিযুক্তের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দিয়েছেন বলে ঢাকা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।
অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন- ইউটিউব চ্যানেল কোকিল টিভির মালিক শাহজাহান (৪৫) এবং চ্যানেল গান রূপালী এইচডির মালিক মো. ইকবাল হোসেন (৪৮)।
অভিযুক্ত তিনজনই জামিনে থাকলেও সোমবার তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানির সময় অভিযুক্তরা তাদেরকে নির্দোষ দাবি করেন।
এদিকে, অভিযোগ গঠনের পর আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মিজানুর রহমান অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইমরুল হাসান বাদী হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। এরপর আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
অভিযোগে ইমরুল বলেন, “রীতা একটি অনুষ্ঠানে অন্য আরেক গায়কের সঙ্গে পালা গান গাওয়ার সময় আল্লাহকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।”
পরে গানটি ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ায় তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও দাবি করেন, গানটি মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ২৮ (১) অনুযায়ী, “যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কোনো ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে কোনো কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে থাকে। যা ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধকে আঘাত করে তাহলে সেই ব্যক্তির এ ধরনের কার্যকলাপ একটি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।”
এছাড়া, “যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এর অধীনে কোনো অপরাধ করে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এবং যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত অপরাধটি দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তবে তিনি অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
এদিকে, গানটি ভাইরাল হওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি ইউটিউব চ্যানেল “গান রূপালী এইচডি”তে এক সাক্ষাৎকারে রিতা ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এর আগে ৯ জানুয়ারি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় দায়ের করা আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে” অভিযোগে এনে বাউল গায়ক শরীয়ত সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।