বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মরিয়মকে পানের বরজে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে রফিক
মো. হেদায়েৎ হোসেন, খুলনা
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০২:২৮ পিএমআপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ০৩:০৯ পিএম
খুলনায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী রফিক শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া, আরেকটি ধারায় তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে আসামি রফিক শেখের সঙ্গে ফকিরহাট উপজেলার হালিমা বেগমের মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলত মরিয়ম। কিন্তু, মোবাইলে কথা বলা নিয়ে মরিয়মকে সন্দেহ করতে শুরু করে রফিক। এ নিয়ে দুজনের মাঝে বিবাদ লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে মরিয়মে উপর শারীরিক নির্যাতনও করত রফিক।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট ঘটনার দিন দুপুরে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে যায় আসামির। তখনই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রফিক।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরদিন সকালে রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামের একটি পানের বরজের মধ্যে পেট্রোল ও একটি বস্তার মধ্যে কয়েকটি ইট রেখে আসে। রাতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মরিয়মকে পানের বরজে নিয়ে যায়। সেখানেই ইট দিয়ে মরিয়মের মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেন আসামি রফিক। পরে বস্তায় মরদেহ ভরে তাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে রফিক।
এদিকে, বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না বলে প্রতিবেশীদের জানান। এর দুদিন পর তার অর্ধগলিত ও পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের মা রূপসা থানায় বাদী হয়ে রফিক শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে, একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাহাবুদ্দিন গাজী রফিক শেখকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
খুলনায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মরিয়মকে পানের বরজে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে রফিক
খুলনায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী রফিক শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া, আরেকটি ধারায় তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে আসামি রফিক শেখের সঙ্গে ফকিরহাট উপজেলার হালিমা বেগমের মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলত মরিয়ম। কিন্তু, মোবাইলে কথা বলা নিয়ে মরিয়মকে সন্দেহ করতে শুরু করে রফিক। এ নিয়ে দুজনের মাঝে বিবাদ লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে মরিয়মে উপর শারীরিক নির্যাতনও করত রফিক।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট ঘটনার দিন দুপুরে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে যায় আসামির। তখনই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রফিক।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরদিন সকালে রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামের একটি পানের বরজের মধ্যে পেট্রোল ও একটি বস্তার মধ্যে কয়েকটি ইট রেখে আসে। রাতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মরিয়মকে পানের বরজে নিয়ে যায়। সেখানেই ইট দিয়ে মরিয়মের মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেন আসামি রফিক। পরে বস্তায় মরদেহ ভরে তাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে রফিক।
এদিকে, বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না বলে প্রতিবেশীদের জানান। এর দুদিন পর তার অর্ধগলিত ও পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের মা রূপসা থানায় বাদী হয়ে রফিক শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে, একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাহাবুদ্দিন গাজী রফিক শেখকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিষয়: