আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট গ্রন্থে সুন্দি কাছিমকে ‘কম উদ্বেগের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
জাবির লেকে অবমুক্ত করা হয় ৮টি সুন্দি কাছিম। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন
ট্রিবিউন রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৩:১৪ পিএমআপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৩:১৪ পিএম
ঢাকার সাভারের নামাবাজার এলাকা থেকে ৮টি সুন্দি কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের” সহযোগিতায় কাছিমগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। পরে সন্ধ্যায় কাছিমগুলোকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে অবমুক্ত করা হয়।
ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, “সুন্ধি কাছিম দেশের সব জলাশয়ে আগে অনেক দেখা গেলেও এখন এর সংখ্যা কম। বর্তমানে আবাসস্থল ধ্বংস, অবৈধ শিকার ও জলাশয় দূষণের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়ছে এই কচ্ছপ। আমরা চাই মানুষ সচেতন হোক এবং বিপন্নপ্রায় এসব প্রাণী রক্ষায় এগিয়ে আসুক।”
অন্যদিকে, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বলেন, “সাভারের নামাবাজারে স্থানীয় লোকজন সুন্দি কাছিম বিক্রি করছে, এমন খবরে অভিযান চালিয়ে আমরা তাদেরকে আটক করি এবং তাদের কাছে থাকা জীবিত কচ্ছপ উদ্ধার করি। পরে তাদেরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। আমরা আইন প্রয়োগ করার মধ্যে না বরং মানুষকে সচেতন করার মধ্যে দিয়ে বিপন্ন এসব প্রাণীকে রক্ষা করতে চাই।”
সুন্দি কাছিম সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, এই প্রজাতির কাছিম স্থানীয়ভাবে “চিতি কাছিম” নামেও পরিচিত। দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে প্রচুর সুন্দি কাছিম দেখা যেত, তবে বাসস্থান ধ্বংস, জলাশয় দূষণ ও ক্রমাগত শিকারের কারণে এই জলজ প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।
জোহরা মিলা বলেন, “আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট গ্রন্থে সুন্দি কাছিমকে “কম উদ্বেগের” তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রাণীটি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
প্রাণ বাঁচল ৮ কাছিমের, জাবির লেকে অবমুক্ত
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট গ্রন্থে সুন্দি কাছিমকে ‘কম উদ্বেগের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
ঢাকার সাভারের নামাবাজার এলাকা থেকে ৮টি সুন্দি কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের” সহযোগিতায় কাছিমগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। পরে সন্ধ্যায় কাছিমগুলোকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে অবমুক্ত করা হয়।
ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, “সুন্ধি কাছিম দেশের সব জলাশয়ে আগে অনেক দেখা গেলেও এখন এর সংখ্যা কম। বর্তমানে আবাসস্থল ধ্বংস, অবৈধ শিকার ও জলাশয় দূষণের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়ছে এই কচ্ছপ। আমরা চাই মানুষ সচেতন হোক এবং বিপন্নপ্রায় এসব প্রাণী রক্ষায় এগিয়ে আসুক।”
অন্যদিকে, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বলেন, “সাভারের নামাবাজারে স্থানীয় লোকজন সুন্দি কাছিম বিক্রি করছে, এমন খবরে অভিযান চালিয়ে আমরা তাদেরকে আটক করি এবং তাদের কাছে থাকা জীবিত কচ্ছপ উদ্ধার করি। পরে তাদেরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। আমরা আইন প্রয়োগ করার মধ্যে না বরং মানুষকে সচেতন করার মধ্যে দিয়ে বিপন্ন এসব প্রাণীকে রক্ষা করতে চাই।”
সুন্দি কাছিম সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, এই প্রজাতির কাছিম স্থানীয়ভাবে “চিতি কাছিম” নামেও পরিচিত। দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে প্রচুর সুন্দি কাছিম দেখা যেত, তবে বাসস্থান ধ্বংস, জলাশয় দূষণ ও ক্রমাগত শিকারের কারণে এই জলজ প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।
জোহরা মিলা বলেন, “আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট গ্রন্থে সুন্দি কাছিমকে “কম উদ্বেগের” তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রাণীটি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”