বর্তমানে এই দম্পতি রাজধানীর শ্যামলীর সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
নূর ইসলাম ও রুমা বেগম দম্পতি ছবি: সংগৃহীত
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৩৫ পিএমআপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন নূর ইসলাম (৪১)। এক সময়ে তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়ে। জীবন বাঁচাতে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়ে পড়ে অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও কিডনি পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে স্বামীর বিপন্ন জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্ত্রী রুমা বেগম (৩১)। তার দেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেই নূর ইসলাম সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীর সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে এই কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে এই দম্পতি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুগলিবাড়ি গ্রামের নূর ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের উফারমারা (মাছির বাজার) গ্রামের রুমা বেগমের বিয়ে হয়। বর্তমানে এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। প্রায় ৪ বছর আগে নূর ইসলামের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। দেশে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিনের চিকিৎসা ও ছয় মাসের ডায়ালাইসিসের পরেও নূর ইসলাম সুস্থ হননি।
৫ মাস ধরে নূর হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার পর পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় নূর ইসলামের দুটি কিডনিই অচল হয়ে গেছে। তাকে বাঁচানোর জন্য কমপক্ষে একটি কিডনির প্রয়োজন।
কিন্তু বিভিন্ন কিডনি ব্যাংকে যোগাযোগ করেও কিডনি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এক সময় স্বামীর সঙ্গে নিজের কিডনি মিলে যাওয়ায় তার জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দানের সিদ্ধান্ত নেন রুমা বেগম।
রুমা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজের ইচ্ছায় কিডনি দিয়েছি। স্বামীকে নিজের কিডনি দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এখন বাঁচলে দুজনে বাঁচব আর মরলে দুজনে মরব। আমার স্বামী কখনো বলেনি তোমার কিডনি আমাকে দাও।’’
রুমা বেগমের মা আমিনা বেগম বলেন, ‘‘বিপদে রুমার মতো প্রত্যেক মেয়েকে তার স্বামীর পাশে থাকা উচিত।’’
এদিকে, স্বামীকে স্ত্রীর কিডনি দানের ঘটনা প্রসঙ্গে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্য নুর ইসলাম জানান, এটি একটি বিরল উদাহরণ। স্ত্রীর কিডনি দিয়ে স্বামীর প্রাণ বাঁচানোর ঘটনায় এলাকায় অনেকে ওই গৃহবধূর প্রশংসা করছেন। দ্রুততর সময়ে তাদের দুজনের সুস্থতাও কামনা করেন তিনি।
স্ত্রীর দেওয়া কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন স্বামী
বর্তমানে এই দম্পতি রাজধানীর শ্যামলীর সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন নূর ইসলাম (৪১)। এক সময়ে তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়ে। জীবন বাঁচাতে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়ে পড়ে অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও কিডনি পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে স্বামীর বিপন্ন জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্ত্রী রুমা বেগম (৩১)। তার দেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেই নূর ইসলাম সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীর সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে এই কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে এই দম্পতি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুগলিবাড়ি গ্রামের নূর ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের উফারমারা (মাছির বাজার) গ্রামের রুমা বেগমের বিয়ে হয়। বর্তমানে এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। প্রায় ৪ বছর আগে নূর ইসলামের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। দেশে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিনের চিকিৎসা ও ছয় মাসের ডায়ালাইসিসের পরেও নূর ইসলাম সুস্থ হননি।
৫ মাস ধরে নূর হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার পর পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় নূর ইসলামের দুটি কিডনিই অচল হয়ে গেছে। তাকে বাঁচানোর জন্য কমপক্ষে একটি কিডনির প্রয়োজন।
কিন্তু বিভিন্ন কিডনি ব্যাংকে যোগাযোগ করেও কিডনি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এক সময় স্বামীর সঙ্গে নিজের কিডনি মিলে যাওয়ায় তার জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দানের সিদ্ধান্ত নেন রুমা বেগম।
রুমা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজের ইচ্ছায় কিডনি দিয়েছি। স্বামীকে নিজের কিডনি দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এখন বাঁচলে দুজনে বাঁচব আর মরলে দুজনে মরব। আমার স্বামী কখনো বলেনি তোমার কিডনি আমাকে দাও।’’
রুমা বেগমের মা আমিনা বেগম বলেন, ‘‘বিপদে রুমার মতো প্রত্যেক মেয়েকে তার স্বামীর পাশে থাকা উচিত।’’
এদিকে, স্বামীকে স্ত্রীর কিডনি দানের ঘটনা প্রসঙ্গে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্য নুর ইসলাম জানান, এটি একটি বিরল উদাহরণ। স্ত্রীর কিডনি দিয়ে স্বামীর প্রাণ বাঁচানোর ঘটনায় এলাকায় অনেকে ওই গৃহবধূর প্রশংসা করছেন। দ্রুততর সময়ে তাদের দুজনের সুস্থতাও কামনা করেন তিনি।