পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন হতে হয় গম গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানীকে
গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে
প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ০৭:১৪ পিএমআপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ০৭:১৪ পিএম
বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ার শহীদ (৭২) দিনাজপুরে জাকির হোসেনকে ১২ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকা চাওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর শ্যামলীতে জনবহুল সড়কে প্রকাশ্যে শহীদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ এর অভিযানে রবিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত মো. জাকির হোসেন (৩৭) ও এবং হত্যাকারী মো. সাইফুলকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে এবং অভিযুক্তরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার পর শ্যামলীতে আনোয়ার শহীদকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট বোন ফেরদৌস সুলতানা (৫৯) আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। র্যাব এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।”
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “মূল পরিকল্পনাকারী জাকির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, নিহত আনোয়ার শহীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সে ১২ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেয়। পরে শহীদ বছরখানেক আগে পাওনা ১২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য জাকিরকে চাপ দেন। টাকা যাতে ফেরত দিতে না হয় সেজন্য জাকির গত ৬ থেকে ৭ মাস ধরে শহীদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।”
সাইফুল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ৩ থেকে ৪ মাস আগে জাকিরের ডাকে সাইফুল ঢাকায় আসে। পরে জাকির সাইফুলকে বলে, একজন লোক আর্থিকভাবে তাকে অনেক বড় ক্ষতি করেছে, তাকে হত্যা করতে হবে। সাইফুল যদি ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে তাহলে জাকির সাইফুলকে জায়গাসহ বাড়ি, অর্থ সহায়তা দেবে এবং আগের দেওয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে না।
হত্যাকাণ্ডের পর জাকির এবং সাইফুল পোশাক পরিবর্তন করে ফেলে। রাতে জাকির সাইফুলকে ৬০০ টাকা দিয়ে দিনাজপুরে চলে যেতে বলে। নিজেকে সন্দেহমুক্ত রাখতে ভিকটিমকে দেখতে হাসপাতালেও যায় সে। পরে তাদের অভিযান চালিয়ে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আনোয়ার শহীদ গম গবেষণা কেন্দ্রে ১৯৭৬ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালে পরিচালক পদ মর্যাদায় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার সর্বশেষ কর্মস্থল জয়দেবপুর থেকে অবসর নেন। তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তার সঙ্গে মো. জাকির হোসেনের পরিচয় হয়।
পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন হতে হয় গম গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানীকে
গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে
বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ার শহীদ (৭২) দিনাজপুরে জাকির হোসেনকে ১২ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকা চাওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর শ্যামলীতে জনবহুল সড়কে প্রকাশ্যে শহীদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ এর অভিযানে রবিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত মো. জাকির হোসেন (৩৭) ও এবং হত্যাকারী মো. সাইফুলকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে এবং অভিযুক্তরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার পর শ্যামলীতে আনোয়ার শহীদকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট বোন ফেরদৌস সুলতানা (৫৯) আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। র্যাব এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।”
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “মূল পরিকল্পনাকারী জাকির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, নিহত আনোয়ার শহীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সে ১২ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেয়। পরে শহীদ বছরখানেক আগে পাওনা ১২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য জাকিরকে চাপ দেন। টাকা যাতে ফেরত দিতে না হয় সেজন্য জাকির গত ৬ থেকে ৭ মাস ধরে শহীদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।”
সাইফুল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ৩ থেকে ৪ মাস আগে জাকিরের ডাকে সাইফুল ঢাকায় আসে। পরে জাকির সাইফুলকে বলে, একজন লোক আর্থিকভাবে তাকে অনেক বড় ক্ষতি করেছে, তাকে হত্যা করতে হবে। সাইফুল যদি ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে তাহলে জাকির সাইফুলকে জায়গাসহ বাড়ি, অর্থ সহায়তা দেবে এবং আগের দেওয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে না।
হত্যাকাণ্ডের পর জাকির এবং সাইফুল পোশাক পরিবর্তন করে ফেলে। রাতে জাকির সাইফুলকে ৬০০ টাকা দিয়ে দিনাজপুরে চলে যেতে বলে। নিজেকে সন্দেহমুক্ত রাখতে ভিকটিমকে দেখতে হাসপাতালেও যায় সে। পরে তাদের অভিযান চালিয়ে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আনোয়ার শহীদ গম গবেষণা কেন্দ্রে ১৯৭৬ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালে পরিচালক পদ মর্যাদায় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার সর্বশেষ কর্মস্থল জয়দেবপুর থেকে অবসর নেন। তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তার সঙ্গে মো. জাকির হোসেনের পরিচয় হয়।