বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে কটূক্তি: কাটাখালীর মেয়রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করবো নাকি’
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী ঢাকা ট্রিবিউন
দুলাল আবদুল্লাহ, রাজশাহী
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:২১ এএমআপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:২১ এএম
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ নিয়ে কটূক্তি ও বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হবে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী।
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার বলেন, “সভায় আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।”
মাজদার রহমান আরও বলেন, “বৈঠক শেষে কাটাখালী আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করে তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আব্বাসের নামে কারণ দর্শণের নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।”
এদিকে, আব্বাস আলীর বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগ। বুধবার সকালে নগরী সাহেববাজারে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সন্ধ্যায় নগরীর জিরোপয়েন্টে আব্বাস আলীর কুশ পুত্তলিকা দাহ করেছে রাজশাহীর সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম। এছাড়া, কাটাখালী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন কাটাখালী বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণার অভিযোগে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে রাজশাহীর নগরের রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ তিনটি মামলা করা হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মোমিন মামলা করেছেন বোয়ালিয়া মডেল থানায়। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মামলা করেছেন রাজপাড়া থানায়। আর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বাদীদের মধ্যে কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। তৌহিদুল হক সুমন মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। এছাড়া আনোয়ার হোসেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তাদের অভিযোগ, “বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ নির্মাণ নিয়ে কটূক্তি করে আব্বাস আলী বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা প্রচার করে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে উস্কানি প্রদান করেছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে এই কর্মকাণ্ড। ফলে আইনি প্রতিকার চেয়েছেন এই তিন কাউন্সিলর।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন নৌকা প্রতীকে দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। এ নিয়ে তার ফাঁস হওয়া অডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সোমবার রাত থেকে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পাড়ে।
তার বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন মেয়র আব্বাস।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে কটূক্তি: কাটাখালীর মেয়রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করবো নাকি’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ নিয়ে কটূক্তি ও বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হবে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী।
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার বলেন, “সভায় আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।”
মাজদার রহমান আরও বলেন, “বৈঠক শেষে কাটাখালী আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করে তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আব্বাসের নামে কারণ দর্শণের নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।”
আরও পড়ুন- ‘বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করবো নাকি’
এদিকে, আব্বাস আলীর বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগ। বুধবার সকালে নগরী সাহেববাজারে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সন্ধ্যায় নগরীর জিরোপয়েন্টে আব্বাস আলীর কুশ পুত্তলিকা দাহ করেছে রাজশাহীর সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম। এছাড়া, কাটাখালী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন কাটাখালী বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণার অভিযোগে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে রাজশাহীর নগরের রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ তিনটি মামলা করা হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মোমিন মামলা করেছেন বোয়ালিয়া মডেল থানায়। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মামলা করেছেন রাজপাড়া থানায়। আর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বাদীদের মধ্যে কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। তৌহিদুল হক সুমন মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। এছাড়া আনোয়ার হোসেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি: কাটাখালি মেয়রের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
তাদের অভিযোগ, “বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ নির্মাণ নিয়ে কটূক্তি করে আব্বাস আলী বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা প্রচার করে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে উস্কানি প্রদান করেছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে এই কর্মকাণ্ড। ফলে আইনি প্রতিকার চেয়েছেন এই তিন কাউন্সিলর।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন নৌকা প্রতীকে দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। এ নিয়ে তার ফাঁস হওয়া অডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সোমবার রাত থেকে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পাড়ে।
তার বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন মেয়র আব্বাস।