ইউনেস্কো পুরস্কার জিতল দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ
বাংলাদেশ, চীন, ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড এ ছয়টি দেশের নয়টি প্রকল্পকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে
দোলেশ্বর হানাফিয়া মসজিদ। ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৩৪ পিএমআপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৩৪ পিএম
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এক স্থাপনার নাম দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অপূর্ব নিদর্শন, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু ইতিহাস আর ঘটনার সাক্ষী এই মসজিদটি ২০২১ সালের ইউনেস্কো এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাওয়ার্ডস ফর কালচারাল হেরিটেজ কনজারভেশনে “অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট” জিতেছে।
১৮৬৮ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন দারোগা আমিনউদ্দীন আহম্মদ। তাই এটি পরিচিত “দারোগা মসজিদ” নামেও।
আমিনউদ্দীনের ছেলে মইজ উদ্দীন আহমেদ মসজিদের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। বংশ পরম্পরায় মসজিদটির নির্মাণ ও সংস্কার কাজে নিয়োজিত ছিলেন খিদির বক্স-কাদের বক্স নামে দুই সহোদর এবং মইজ উদ্দিনের পরিবার। পরবর্তীতে কাদের বক্সের দৌহিত্র সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হামিদুর রহমান ১৯৬৮ সালে মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিতাংশ নির্মাণ করেন।
পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবং মূল অবকাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার করেন অধ্যাপক হামিদুর রহমানের ছেলে বর্তমান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
স্থানীয়দের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি স্থান। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা কেরানীগঞ্জে গেলে একবার দেখে আসেন মসজিদটিকে।
প্রায় দুইশ বছরের পুরনো মসজিদটির পুরনো আদল সম্পূর্ণরূপে ঠিক রেখে সুনিপুণ হাতে পুনর্নির্মাণের কাজ করেছেন স্থপতি আবু সাঈদ এম. আহমেদ।
জাতিসংঘের সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড-এই ছয় দেশের নয়টি প্রকল্পকে হেরিটেজ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
ইউনেস্কো স্বতন্ত্র ঐতিহাসিক কাঠামো এবং সেগুলোর অবকাঠামো পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ এবং রূপান্তরের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি স্বরূপ এশিয়া-প্যাসিফিক পুরস্কার দিয়ে থাকে।
ইউনেস্কো পুরস্কার জিতল দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ
বাংলাদেশ, চীন, ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড এ ছয়টি দেশের নয়টি প্রকল্পকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এক স্থাপনার নাম দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অপূর্ব নিদর্শন, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু ইতিহাস আর ঘটনার সাক্ষী এই মসজিদটি ২০২১ সালের ইউনেস্কো এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাওয়ার্ডস ফর কালচারাল হেরিটেজ কনজারভেশনে “অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট” জিতেছে।
১৮৬৮ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন দারোগা আমিনউদ্দীন আহম্মদ। তাই এটি পরিচিত “দারোগা মসজিদ” নামেও।
আমিনউদ্দীনের ছেলে মইজ উদ্দীন আহমেদ মসজিদের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। বংশ পরম্পরায় মসজিদটির নির্মাণ ও সংস্কার কাজে নিয়োজিত ছিলেন খিদির বক্স-কাদের বক্স নামে দুই সহোদর এবং মইজ উদ্দিনের পরিবার। পরবর্তীতে কাদের বক্সের দৌহিত্র সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হামিদুর রহমান ১৯৬৮ সালে মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিতাংশ নির্মাণ করেন।
পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবং মূল অবকাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার করেন অধ্যাপক হামিদুর রহমানের ছেলে বর্তমান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
স্থানীয়দের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি স্থান। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা কেরানীগঞ্জে গেলে একবার দেখে আসেন মসজিদটিকে।
প্রায় দুইশ বছরের পুরনো মসজিদটির পুরনো আদল সম্পূর্ণরূপে ঠিক রেখে সুনিপুণ হাতে পুনর্নির্মাণের কাজ করেছেন স্থপতি আবু সাঈদ এম. আহমেদ।
জাতিসংঘের সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড-এই ছয় দেশের নয়টি প্রকল্পকে হেরিটেজ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
ইউনেস্কো স্বতন্ত্র ঐতিহাসিক কাঠামো এবং সেগুলোর অবকাঠামো পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ এবং রূপান্তরের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি স্বরূপ এশিয়া-প্যাসিফিক পুরস্কার দিয়ে থাকে।