উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা রবিবার
গত আগস্টে প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়
মেট্রোরেল প্রকল্পের ট্রেন ফাইল ছবি/ঢাকা ট্রিবিউন
ট্রিবিউন রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৫১ পিএমআপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৫১ পিএম
দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়েছে গত আগস্টেই। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করবে
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য পাওয়ার ক্যাবল লাইন স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।”
গত ২৯ আগস্ট প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। গত ২৯ নভেম্বর উত্তরা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত পাঁচটি স্টেশনে দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে মেট্রোরেল।
এম এ এন সিদ্দিকের ভাষ্যমতে, উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইনের দৈর্ঘ্য ২১.৭৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭২.৯৯%।
উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পুরো রুটে ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে প্রতি ঘণ্টায় মেট্রোরেলে ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রিপে ২০০ জন যাত্রী থাকবেন।”
২৯ আগস্টে মিরপুরে মেট্রোরেলের প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রা মেহেদি হাসান/ঢাকা ট্রিবিউন
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মতিঝিল মেট্রোরেলের পরিষেবা চালুর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আশাবাদী বলেও জানান তিনি।
তাছাড়া, এ রুটে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পৃথক পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
এ প্রসঙ্গে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “প্রথম পর্যায়ে ৩৫৭ জন সদস্য নিয়ে একটি ডেডিকেটেড ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট (এমআরটি) পুলিশ ইউনিট গঠন করা হবে। পুলিশ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরাও ইউনিটের সঙ্গে কাজ করবেন।”
ডিএমটিসিএলের এ কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে এমআরটি পুলিশ ইউনিট স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ বাহিনী গঠনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ডিএমটিসিএল একটি কোর অপারেশন টিম গঠন করলেও এখনও এ বিষয়ে কোনো কিছু চূড়ান্ত করতে পারেনি।
জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম থেকে ২৪ সেট ট্রেনের অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিটি সেটের উভয় পাশে দুটি ইঞ্জিন এবং চারটি বগি থাকে।
ডিএমটিসিএলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮ সেট ট্রেন এসেছে। এর মধ্যে ৭টি দিয়াবাড়ি ডিপোতে এবং অন্যটি এখনও মোংলা বন্দরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে সবগুলো ট্রেন সেটের পারফরম্যান্স নিরীক্ষণ করা হবে।”
প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এখন আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রুটটি চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
২০২১ সালের মধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও রুটটি চালু করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়।
কর্মকর্তারা জানান, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার স্টেশনের নির্মাণকাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এছাড়া, উত্তরা, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ ও আগারগাঁও স্টেশনে ছাদ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে এবং কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে ছাদ বসানোর কাজ চলছে।
উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা রবিবার
গত আগস্টে প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়
দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়েছে গত আগস্টেই। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করবে
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য পাওয়ার ক্যাবল লাইন স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।”
গত ২৯ আগস্ট প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। গত ২৯ নভেম্বর উত্তরা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত পাঁচটি স্টেশনে দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে মেট্রোরেল।
এম এ এন সিদ্দিকের ভাষ্যমতে, উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইনের দৈর্ঘ্য ২১.৭৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭২.৯৯%।
উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পুরো রুটে ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে প্রতি ঘণ্টায় মেট্রোরেলে ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রিপে ২০০ জন যাত্রী থাকবেন।”
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মতিঝিল মেট্রোরেলের পরিষেবা চালুর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আশাবাদী বলেও জানান তিনি।
তাছাড়া, এ রুটে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পৃথক পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
এ প্রসঙ্গে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “প্রথম পর্যায়ে ৩৫৭ জন সদস্য নিয়ে একটি ডেডিকেটেড ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট (এমআরটি) পুলিশ ইউনিট গঠন করা হবে। পুলিশ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরাও ইউনিটের সঙ্গে কাজ করবেন।”
ডিএমটিসিএলের এ কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে এমআরটি পুলিশ ইউনিট স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ বাহিনী গঠনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ডিএমটিসিএল একটি কোর অপারেশন টিম গঠন করলেও এখনও এ বিষয়ে কোনো কিছু চূড়ান্ত করতে পারেনি।
জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম থেকে ২৪ সেট ট্রেনের অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিটি সেটের উভয় পাশে দুটি ইঞ্জিন এবং চারটি বগি থাকে।
ডিএমটিসিএলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮ সেট ট্রেন এসেছে। এর মধ্যে ৭টি দিয়াবাড়ি ডিপোতে এবং অন্যটি এখনও মোংলা বন্দরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে সবগুলো ট্রেন সেটের পারফরম্যান্স নিরীক্ষণ করা হবে।”
প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এখন আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রুটটি চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
২০২১ সালের মধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও রুটটি চালু করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়।
কর্মকর্তারা জানান, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার স্টেশনের নির্মাণকাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এছাড়া, উত্তরা, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ ও আগারগাঁও স্টেশনে ছাদ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে এবং কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে ছাদ বসানোর কাজ চলছে।