রিটে বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ নম্বর ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৪১ পিএমআপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৪৩ পিএম
বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ নম্বর ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ নম্বর ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে।
রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্মে এক স্ত্রী থাকা অবস্থায় পুরুষের একাধিক বিয়ে করার বিধান রয়েছে। একসঙ্গে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি থাকলেও পবিত্র কোরআনে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১৯৬১ মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারায় বহুবিবাহের যে বিধান করা হয়েছিল তাতে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত। যদিও স্বামীর বহুবিবাহের ফলে বর্তমান স্ত্রীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তারপরও সালিশি কাউন্সিলকে অনুমতি দেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে স্ত্রীর সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “মুসলিম পারিবারিক আইনের বিষয়ে পারিবারিক আদালত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে বহুবিবাহের মত গুরুত্ববহ ইস্যু কেবল সালিশি কাউন্সিলের হাতে দেওয়া হয়েছে, যা নারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “উন্নত মুসলিম দেশগুলোতে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, আর্থিক সক্ষমতার সনদ ইত্যাদি দাখিল করে ও বর্তমান স্ত্রীর বক্তব্য শুনানি করে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। অথচ আমাদের দেশে সালিশি কাউন্সিলের সাক্ষ্য-প্রমাণ নেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। বহুবিবাহের বর্তমান যে বিধান রয়েছে তা সংশোধন করে আরও কঠোর বিধান করা উচিত। এজন্য এই রিট দায়ের করা হয়েছে বলেও রিটকারী আইনজীবী জানান।“
বহুবিবাহ আইনের ৬ নম্বর ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট
রিটে বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ নম্বর ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে
বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ নম্বর ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ নম্বর ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্মে এক স্ত্রী থাকা অবস্থায় পুরুষের একাধিক বিয়ে করার বিধান রয়েছে। একসঙ্গে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি থাকলেও পবিত্র কোরআনে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১৯৬১ মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারায় বহুবিবাহের যে বিধান করা হয়েছিল তাতে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত। যদিও স্বামীর বহুবিবাহের ফলে বর্তমান স্ত্রীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তারপরও সালিশি কাউন্সিলকে অনুমতি দেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে স্ত্রীর সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “মুসলিম পারিবারিক আইনের বিষয়ে পারিবারিক আদালত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে বহুবিবাহের মত গুরুত্ববহ ইস্যু কেবল সালিশি কাউন্সিলের হাতে দেওয়া হয়েছে, যা নারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “উন্নত মুসলিম দেশগুলোতে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, আর্থিক সক্ষমতার সনদ ইত্যাদি দাখিল করে ও বর্তমান স্ত্রীর বক্তব্য শুনানি করে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। অথচ আমাদের দেশে সালিশি কাউন্সিলের সাক্ষ্য-প্রমাণ নেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। বহুবিবাহের বর্তমান যে বিধান রয়েছে তা সংশোধন করে আরও কঠোর বিধান করা উচিত। এজন্য এই রিট দায়ের করা হয়েছে বলেও রিটকারী আইনজীবী জানান।“