Tuesday, March 25, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ফরেনসিক পরীক্ষার পর কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মরদেহ পুনরায় দাফন

মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর সেলিম হোসেনের মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ০৪:৪৩ পিএম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেকঘ ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা শেষে রাতেই মরদেহ কুষ্টিয়ার পারিবারিক কবরে ফের দাফন করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “ঢাকায় ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শিক্ষক সেলিমের মরদেহ কুষ্টিয়ায় পৌঁছে। এরপর মরদেহ একই কবরে দাফন করা হয়।”

এ বিষয়ে খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর ১৫ ডিসেম্বর সকালে কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেনের লাশ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মরদেহ ঢাকায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার পুনরায় একই কবরে দাফন করা হয়।”

খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সই করা এক চিঠি পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ সাদা, খুলনা খানজাহান আলী ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস, কুমারখালী ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার, কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফারহান লাবিবের উপস্থিতিতে গত ১৫ ডিসেম্বর লাশ উত্তোলন করা হয়েছিল।

গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার থেকে তার মৃত্যু হয়। এরপর, ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ কুষ্টিয়ায় তার গ্রামে দাফন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে সংগঠনটির কয়েকজন কর্মী অধ্যাপক সেলিমকে তার অফিসে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতনের কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান।

আরও পড়ুন- কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: বহিষ্কার ৯ শিক্ষার্থীর ৭ জনই ছাত্রলীগ নেতা

এ সময় তাকে গালিগালাজ, লাঞ্ছনা করার পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন সহকর্মীরা।

ঘটনার পর গত ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুয়েট ক্যাম্পাস। ওই দিন বিকেল ৪টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ছাত্রাবাস খালি করতে বলা হয়।

এছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

কিন্তু প্যানেল সময়মতো তদন্ত শেষ করতে পারেনি। পরে তদন্ত সংস্থার সুপারিশ বিবেচনা করে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ায় কুয়েট।

   

About

Popular Links

x